অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমলওয়ালা, আল্লাহভীরু আলেম হওয়াই কওমি মাদরাসায় পড়ার উদ্দেশ্য। আল্লাহর ভয় অন্তরে না থাকলে অপরাধমুক্ত জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়। দুনিয়ার লোভ-লালসা থেকে দূরে থেকে অহংকারমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। যে নিজেকে ছোট মনে করে আল্লাহ তাকে অন্যদের চোখে বড় করে দেন এবং যে নিজেকে বড় মনে করে আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।
শনিবার (১২ জুলাই) বাদ মাগরিব কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মসজিদে ছাত্রদের উদ্দেশে বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জবানকে সর্বদা সংযত করে চলতে হবে। অনর্থ কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে আল্লাহর জিকির আজকার ও কুরআন তেলাওয়াত বেশি করে করতে হবে। হাদিস শরিফে আছে, হজরত নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহ্বাকে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজতে রাখবে আমি নবী তার জান্নাতের জিম্মাদার।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এই নূরিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হজরত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর বিশেষ আমল ছিল তিনি সর্বদা জিকির করতেন অথবা কুরআন তেলাওয়াত করতেন। তাই সময় নষ্ট না করে চতুর্মুখী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কারণ যোগ্য লোকের সম্মান সব সময়ই রয়েছে। অন্যায় কাজ ও হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকতে হবে। নজরকে সর্বদা উঁচু রাখতে হবে। কারণ বাজপাখির নজর থাকে উপরে, আর শকুনের নজর থাকে নিচের দিকে, মৃত প্রাণীর তালাশে। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে অপমান করা যাবে না। মুসলমানদের পরস্পরের নিজেদের সম্মান নিজেরা বজায় রাখতে হবে।
মাওলানা খালিদ হোসেন বলেন, আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য খেলাফত আন্দোলন একাধিকবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। আমি যাতে আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি এজন্য আপনাদের নেক দোয়া চাই।
এর আগে বাদ আসর হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.এর মাজার জিয়ারত করে উলামায়ে কেরাম ও খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় জামিয়া নূরিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ নূরিয়ার সকল ছাত্র- শিক্ষক স্থানীয় মসজিদ মাদরাসার ইমাম ও আলেম ওলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/