ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর আপনি নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন, প্রতিদিন হাঁটছেন, খাবার নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং প্রিয় সব খাবার থেকেও দূরে থাকছেন—এমনকি মিষ্টিও খাচ্ছেন না। তবু রক্তে শর্করার মাত্রা কমছে না, বরং ওজনও বাড়ছে। এমন হলে বুঝতে হবে, কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে।
এমন কিছু খাবার হতে পারে, যেগুলো আপনি নিয়মিত খাচ্ছেন এবং তা গোপনে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। চলুন, দেখে নিই সেই খাবারগুলো:
ময়দার তৈরি খাবার
মিষ্টি ছাড়াও ময়দার তৈরি খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে। ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি এবং এতে ফাইবারের পরিমাণও কম থাকে। ফলে, লুচি, পরোটা, পাস্তা, চাউমিন, কেক কিংবা কুকিজ—সবই সুগারের মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ফলের রস
ফল চিবিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো, তবে যদি সেই ফলকে রস করে খাওয়া হয়, তাহলে ফাইবার হারিয়ে যায়। শুধু বাকি থাকে ফ্রুক্টোজ এবং কিছু মিনারেল। প্যাকেটজাত বা বোতলবন্দি ফলের রসে তো চিনি আরও বেশি থাকে। সুতরাং, ফলের রস নয়, বরং আস্ত ফল খান।
তেলেভাজা খাবার
মিষ্টি না খাওয়া হলেও যদি আপনি চপ, শিঙাড়া, ফিশ ফ্রাই বা কাটলেট খেয়ে থাকেন, তাহলে সমস্যা থেকে যাবে। ডুবো তেলে ভাজা খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায়, ওজন বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে আরও বাড়িয়ে দেয়।
সিরিয়াল ও ফ্লেভারড ইয়োগার্ট
ভাত কমিয়ে সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স খাওয়া শুরু করেছেন? এসবের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। এছাড়া, ফ্লেভারড ইয়োগার্টে লুকিয়ে থাকে চিনি। তার পরিবর্তে, ঘরে তৈরি টক দই খান এবং দানাশস্য হিসেবে বেছে নিন ওটস, ডালিয়া বা কিনোয়া।
সাদা ভাত
প্রতিদিন ৫০ গ্রাম সাদা ভাত খেলে সমস্যা নেই, তবে সবকিছুই পরিমাণমতো এবং ভারসাম্যে খেতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ শুধু ওষুধের ওপর নয়, সঠিক খাবার বেছে নেওয়ার ওপরও নির্ভর করে। খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, বিশেষত মিষ্টি ছাড়াও অন্য উপাদানগুলির দিকে নজর রাখতে হবে।
সতর্ক থাকুন এবং খাদ্য নির্বাচন করুন সতর্কতার সাথে।
সূত্র: এই সময়
এমএইচ/