শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রশাসনিক ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি : যুবদল সভাপতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুব আলেম ও ওলামাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে আপনাদেরকে মানুষ পালানোর সুযোগও দেবে না, বিএনপিকে বৈষম্যবিরোধীর নেতা ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্র উদ্ধারে পাগল হয়েছে বিএনপি: গয়েশ্বর নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ পশ্চিম তীরে মার্কিন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল ইসরাইলিরা একটানা বসে পায়ে ব্যথা? স্বস্তি পাবেন যেভাবে হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৮৭,১০০ হাজি, মৃত্যু ৪৫ জনের দুই মাসে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

পবিত্র কাবা ঘরের গোসল সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সর্বাধুনিক ও সর্বোচ্চ মানের নিয়মনীতি অনুসরণ করে পবিত্র কাবা ঘর ধোয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে পবিত্র কাবা ঘর ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়। পবিত্র কাবার ইমাম, খতিব, মক্কার ডেপুটি গভর্নর এবং সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজে অংশ নেন।

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির দেখভালের দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ‘আল হাইয়াতুল আম্মা লিলইনায়াতি বিশুয়ুনিল মাসজিদিল হারাম ও ওয়াল মাসজিদিন নববি’ (হারামাইন শরিফাইনের তত্ত্বাবধায়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পবিত্র কাবাঘরকে পরিশুদ্ধ ও মহিমান্বিত করার পাশাপাশি তার রক্ষণাবেক্ষণ ও সেবাযত্ন করা একটি সুদৃঢ় ও প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য। যা শুরু হয় সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আলে সৌদের সময়কাল থেকে এবং তা অব্যাহত রয়েছে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও তার যুবরাজের শাসনামলেও।

কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কাবা শরিফ ধোয়ার এই বিশেষ মুহূর্তে তারা তাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত, সেবামূলক ও মানবসম্পদ শক্তিকে নিয়োজিত করেছে।

ধোয়ার লক্ষে কাবায় প্রবেশ করার জন্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় কাবার সিঁড়ি প্রস্তুত করা হয় এবং পবিত্র কাবার মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ধোয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় প্রথমে কাবার মেঝে থেকে ধুলা ও ময়লা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করার মাধ্যমে। এরপর নিয়ে আসা হয় বিশেষ তামার পাত্র, যাতে জমজমের পানির সঙ্গে মেশানো থাকে সুগন্ধি গোলাপজল, মসৃণ তেল ও উৎকৃষ্ট আগরউড। এই সুগন্ধিযুক্ত পানি কাপড়ে ভিজিয়ে কাবার অভ্যন্তরের দেয়াল মুছে পরিষ্কার করা হয়।

এরপর কাবার অভ্যন্তরে থাকা তিনটি খুঁটি এবং মেঝেও ধোয়া হয়। পরে তা বিশেষ কাঠের হাতলযুক্ত কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নেওয়া হয়। সবশেষে আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে অভ্যন্তরীণ দেয়াল সুগন্ধি দ্বারা সুপরিচর্যা করা হয়, যাতে পুরো কাবাঘর এক অপার সৌরভে ভরে ওঠে।

এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য এক মহিমান্বিত ও শ্রদ্ধাভাজন ঐতিহ্য- যা প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

প্রতিবছর হিজরি সালের ১৫ মহররম মক্কা পবিত্র কাবা ধোয়া হয়। ধোয়ার পূর্বে কাবাকে পরিষ্কার করা হয় চারটি খেজুর পাতার ঝাড়ু দিয়ে, যেগুলোর হাতল রূপার তৈরি। এগুলো ব্যবহৃত হয় ধুলাবালি ঝাড়ার জন্য। প্রতিটি ঝাড়ুর ওপর উৎকীর্ণ থাকে আরবি কথা। যার অর্থ- ‘এটাই সেই উজ্জ্বল কাবা- কত মনোরম এর সৌরভ, কত পবিত্র এর প্রাচীর, যা আলোর মাধ্যমে ধৌত হয়।’

কাবা শরিফ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় একাধিক তামার পাত্র ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণ।

এর মধ্যে রয়েছে চারটি ১০ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালন, যাতে থাকে একটি বিশেষ সুগন্ধি মিশ্রণ। এই মিশ্রণের উপাদান হলো- চার তোলা আগরউড তেল, জমজমের পানি এবং গোলাপজলের সমন্বয়।

পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজে বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল বিন আবদুল আজিজ, হজ ও উমরা মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়া, মসজিদে হারাম ও নববির পরিচালনা পরিষদের সিইও গাজী আল শাহরানি, পবিত্র কাবার ইমাম ও খতিব শায়খ সুদাইস, শায়খ হুমাইদ, শায়খ বদর আল তুর্কি, শায়খ কারাফি, শায়খ বারহাজি, কাবাঘরের উপ-তত্তাবধায়ক এবং চাবি রক্ষক শায়খ আবদুল মালিক বিন তাহা আল শাইবি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ