আবদুর রউফ আশরাফ।।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তিকারী গ্রেফতারকৃত হবিগঞ্জ সদরের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ‘সজীব দাস ও মাধবপুরের ‘রাজু কৈরি'র সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবীতে সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জ-এর বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিগত ৩১ আগস্ট শনিবার, হবিগঞ্জ তেঘরিয়া ইউপির আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বিবাশ দাশের পুত্র, সজীব দাশ, তার ফেসবুক আইডিতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সহ সকল নবীদের নিয়ে কটাক্ষ ও কুরুচিপূর্ণভাবে গালমন্দ করে, যা সর্বস্তরের মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত লাগে এবং মুসলমানদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত ৩১আগস্ট অভিযান চালিয়ে সজীব দাশ (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
তার সর্বোচ্চ দাবি চেয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর, সোমবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায় মাধবপুরের সুরমা চা বাগানের সুভাষ কৈরির ছেলে রাজু কৈরি ফেইসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
মহানবী (সা.) নিয়ে কটূক্তিকারী গ্রেফতারকৃত হবিগঞ্জ সদরের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ‘সজীব দাস ও মাধবপুরের ‘রাজু কৈরি'র সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবীতে সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জ-এর বিশাল মানববন্ধন করে। উক্ত মানববন্ধনে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সাদী সাহের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও মাদরাসার ছাত্র উস্তাদসহ কয়েক হাজার মুসল্লী প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সাদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লোকমান সাদী,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী,মাওলানা সোহেল আহমদ,মাওলানা আব্দুল আজীজ,পৌর শাখার সদস্য সচিব মাওলানা নোমান আহমদ,মাওলানা আবু সুফিয়ান,শামসুল হুদা,মাওলানা আঃ হাই বাহুবলী,মামলার বাদি জনাব শাহিন মিয়া ,আব্দুল হালিম,মাওলানা ফখরুল ইসলাম,মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক,মুফতি তাফাজ্জুল হক,মুফতি বশির আহমদ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের জেলাও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
কেএল/