বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফের শাহবাগ অবরোধ আলোকিত সাইকেল পথ: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে পোল্যান্ডের অনন্য উদ্যোগ ডাকসুতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি প্রেশার কখন মাপা উত্তম: স্বাস্থ্য সচেতনতায় সঠিক সময়ের গুরুত্ব ‘তরুণদের মধ্যে প্রবীণদের উপেক্ষার প্রবণতাটা খারাপ’  নওমুসলিমের হৃদয়ছোঁয়া গল্প : আলোকের পথে আত্মিক যাত্রা (প্রথম পর্ব) মরচে পড়া লোহা ও টিটেনাস: আতঙ্কের কারণ কী? আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী সড়কে বেইলি ব্রিজ  স্থাপন ও দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন নজরুলের ইসলামি চেতনার পাঁচটি কবিতা জেদ্দায় খেলাফত মজলিস আমিরের সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল

ছবিটা বেশ আশা জাগানিয়া!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আরিফ আজাদ

আমি সর্বদাই একটা কথা আমার বন্ধু সার্কেলে বলি। সেটা হলো—ইসলামপন্থীরা যদি বাংলাদেশের রাজনীতি আর সমাজে মেইনস্ট্রিম হতে চায়, তাদেরকে ‘নারী’ ইস্যুটাকে ফেইস করতে হবে। নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের যে ম্যানিফেস্টো, সেটা সমাজের স্তরে স্তরে পৌঁছে দিতে পারতে হবে। যে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী, তাদের প্রশ্নটাকে ওভারলুক করে থাকলে এই দেশে মেইনস্ট্রিম হওয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়।

আলহামদুলিল্লাহ, খুব ঘটা করে আমাদের মূল ধারার আলিম ওলামাগণ, আমাদের অভিভাবকেরা এই ইস্যুকে এড্রেস করছেন দেখে আমি যারপরনাই আনন্দিত৷ আমার সমর্থন আর অভিনন্দন জানাই আপনাদের।

আবার, প্রগতিপাড়াতে দেখলাম ছবিটা নিয়ে শোরগোল উঠেছে৷ নারীর অধিকার নিয়ে আলাপ, কিন্তু মঞ্চে কেন কোনো নারী রাখা হয়নি—এই তাদের ক্ষোভ! তারা হাসাহাসি করছে, টিটকারি করছে।

প্রগতিপাড়ার এইসব প্রগতি ছাগলেরা ভাবেন যে, দুনিয়ার যাবতীয় ইস্যুকে তাদের ছক অনুযায়ী সবাইকে ডিল করতে হবে৷ যেন বা তারাই দুনিয়ার সমস্ত আদর্শের ইজারা নিয়েছেন।

ইসলামের আলাদা একটা প্রিন্সিপাল আছে। ইসলামে পুরুষ হলো নারীর অভিভাবক। এখন অভিভাবকেরা বসে যদি ঠিক করেন যে, কোন উপায়ে নারীকে তার অধিকার আদায় করে দেওয়া যায়, তাতে সমালোচনার কী আছে?

আর তাছাড়া, ইনসাফ ফাউন্ডেশনের এটাই তো একমাত্র এবং শেষ অনুষ্ঠানাদি বা কর্মযজ্ঞ নয়। কাজের তো কতোরকম লেয়ার বা স্তর থাকে। তারা যে কোনো স্তরেই নারীর মতামত, পরামর্শ শুনবেন না বা রাখবেন না, সেটাই বা এইসব প্রগতিরা বুঝে নিলেন কী করে?

ধরে নিলাম এই মঞ্চে কয়েকজন নারীকে রাখা হলো৷ যদি রাখা হতোই, তারা অবশ্যই বোরকা-হিজাব আর নিকাবে আবৃত থাকতেন৷ তখন এইসব প্রগতিরা কী বলতেন? তারা হাহা হিহি করে বলতেন—‘এরকম কালো বোরকায় আগাগোড়া ঢেকে রাখা নারীদের দিয়ে তারা কীভাবে সমস্ত নারীর প্রতিনিধিত্ব করবে? এরচেয়ে আয়রনি আর কিছু হয় না।’

যদি এই মঞ্চে কয়েকজন শাড়ি পরা বা বোরকা হিজাব পরেন না এমন নারীদের রাখা হতো, তখনও কিন্তু তারা চেঁচিয়ে উঠে বলতেন, ‘গেল গেল! মোল্লারা মঞ্চে বেপর্দা নারীর সাথে বসে গোল মিটিং করছে৷ ইসলামের মূল এসেন্সই তো এরা মানে না, অন্যকিছু কী মানবে...।’

কিয়ামত চলে আসবে কিন্তু এইসব প্রগতিদের এসব ছাপড়িপনা শেষ হবে না।

সুতরাং, এইসব প্রগতিদের কথা না শুনে, আয়োজক আর উদ্যোক্তাদের বলব—আগে বাড়ুন।

লেখক: গ্রন্থ প্রণেতা, চিন্তক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ