শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আরও এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস বিএনপি-জামায়াতের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য কাম্য নয়: মামুনুল হক শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সাথে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি ছোট্ট যে আমলে জীবনের আগে-পরের সব গুনাহ মাফ হয়  গাজা পুনর্গঠনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানালেন এরদোয়ান অতীতে কোনো সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেনি - ড. হেলাল উদ্দিন নিকাব নিষিদ্ধের বিল পার্লামেন্টে পাস করল পর্তুগাল, গুনতে হবে জরিমানা খুলনায় হাতপাখা মার্কা প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন যাদের জন্য নয় সুপারফুড চিয়া সিডস  মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে: ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট

গানের শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে সরকারের পিছুটান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে পিছুটান দিচ্ছে সরকার। আপাতত গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এটা সরাসরি আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নয়। এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে যেহেতু হেফাজতসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি রয়েছে সংগীত বিষয়টি পাঠ্যক্রমে রাখার বিষয়ে, তাই আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেছি, এ বিষয়ে বসার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

প্রাথমিক স্কুলে যে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেটা আপাতত কী হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা আমি বলতে পারব না, যেহেতু এটা আমার মিনিস্ট্রির আন্ডারে নয়। হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনার মধ্যে আছে। হেফাজতের দাবি ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের দাবির ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এটা বিবেচনা করছে কী করা যায়।

এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে বলেন, এটা সাধারণত আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়। এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে উনারা যে দাবি করছেন আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেছি যে এটা নিয়ে আপনার বসা দরকার। যেহেতু হেফাজত ইসলামসহ আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি আছে সংগীত সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করার... আর ধর্মীয় শিক্ষক নাই.... তিনি আমাকে বলেন যে, ধর্মীয় শিক্ষক নামে আমাদের কোনো পোস্ট আগে ছিল না। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়াত।

আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, উনি আমাকে বললেন যে ধর্ম শিক্ষার ক্লাস ইতোমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমি ওনাকে একটা ডিও লেটার দিয়েছিলাম। আমি দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস সাত মাসের মধ্যে আমি বলেছি, যে সমস্ত কওমি মাদ্রাসার ছাত্রের দাওরা হাদিসের সনদ আছে. আপনি উনাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিলে তারা ধর্ম বাংলা এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন। তিনি বলেছেন, আমি এটা বিবেচনা করবো। আমি ডিও লেটার উনাকে দিয়েছি। এটা উনার মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তারপরও আমি আলাপ করবো উনার সাথে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ