বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

হিজরি বর্ষের প্রথম মাস ‘মহররম’-এর ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| ইনজামামুল হক ||

হিজরি সনের প্রথম মাস ‘মহররম’। এই মাসটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ তায়ালা এই মাসকে চারটি ‘হারাম’ (পবিত্র) মাসের একটি হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যার পবিত্রতা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে। আল্লাহর কাছে গণনায় মাস বারটি, তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই এর মধ্যে তোমর নিজেদের প্রতি যুলুম করো না এবং তোমরা মুশরিকদের সাথে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে থাকে। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬)

মহররম মাসের কিছু ফজিলত ও মাহাত্ম্য জেনে নেয়া যাক। এই মাসটির নাম মহররম করা হয়েছে এটির পবিত্রতার কারণে। ‘মুহাররম’ শব্দের অর্থই হলো ‘নিষিদ্ধ’ বা ‘পবিত্র’, যা নির্দেশ করে যে, এই মাসে পাপ কাজ আরো ভয়াবহ এবং সওয়াবের কাজ বেশি প্রতিদানযোগ্য হয়। হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “বর্ষে বারোটি মাস, যার মধ্যে চারটি পবিত্র: জিলক্বদ, জিলহজ্জ, মহররম এবং রজব।” (সহীহ বুখারী, হাদিস: ২৯৫৮)

এই মাসে নফল রোযার বিশেষ ফজিলত

নবী করিম (সা.) বলেন, “রমাদানের পর সবচেয়ে উত্তম রোযা হলো আল্লাহর মাস—মহররমে রোযা রাখা।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৮২)

এখানে “আল্লাহর মাস” বলার মাধ্যমে মহান আল্লাহ মহররম মাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। যদিও পুরো মাস রোযা রাখা ফরয নয়, তবে যত বেশি সম্ভব নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

আশুরা দিবস: মহররমের বিশেষ দিন

মহররমের ১০ তারিখ ‘ইয়াউমে আশুরা’ নামে পরিচিত। যা ইসলামের ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নীরব সাক্ষী। এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা ফেরাউন থেকে মুক্তি পান। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ দিনে আশুরার রোযা রাখতেন এবং তা রাখার জন্য সাহাবিদের অনেক উৎসাহ দিতেন।

মুসলমাদের জন্য মহররমের গুরুত্ব

মহররম মাসে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি, তওবা, নফল ইবাদত, দান ও সহানুভূতির কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এটি নতুন হিজরি বর্ষের সূচনা হলেও শুধুই আনন্দ নয়, বরং আত্মশুদ্ধির সময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

মহররম মাস শুধু একটি পবিত্র মাস এমন নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য একজন মুসলমানের সুবর্ণ সুযোগ। এ মাসে পাপ থেকে বিরত থেকে বেশি বেশি ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য সুযোগও বটে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ