শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ।। ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৩ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে অন্য দলের যাঁরা অংশ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাফত ছাত্র মজলিসের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে নজরকাড়া দৃশ্য, সারজিসের ঘাম মুছে দিলেন শায়খে চরমোনাই মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণাপত্র ‘হাতপাখায় ভোট দিন, নারীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে ইসলামী আন্দোলন’ মহাসমাবেশে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি জমিয়তের শোক সেই আলোচিত গোরখোদক মনু মিয়া আর নেই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ফ্যাসিস্ট টিকতে পারবে না: সারজিস আলম জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান নিশ্চিত করতে হবে: রিজভী ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশগামী বাস দুর্ঘটনার কবলে, নিহত ৪

হিজরি বর্ষের প্রথম মাস ‘মহররম’-এর ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| ইনজামামুল হক ||

হিজরি সনের প্রথম মাস ‘মহররম’। এই মাসটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ তায়ালা এই মাসকে চারটি ‘হারাম’ (পবিত্র) মাসের একটি হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যার পবিত্রতা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে। আল্লাহর কাছে গণনায় মাস বারটি, তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই এর মধ্যে তোমর নিজেদের প্রতি যুলুম করো না এবং তোমরা মুশরিকদের সাথে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে থাকে। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬)

মহররম মাসের কিছু ফজিলত ও মাহাত্ম্য জেনে নেয়া যাক। এই মাসটির নাম মহররম করা হয়েছে এটির পবিত্রতার কারণে। ‘মুহাররম’ শব্দের অর্থই হলো ‘নিষিদ্ধ’ বা ‘পবিত্র’, যা নির্দেশ করে যে, এই মাসে পাপ কাজ আরো ভয়াবহ এবং সওয়াবের কাজ বেশি প্রতিদানযোগ্য হয়। হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “বর্ষে বারোটি মাস, যার মধ্যে চারটি পবিত্র: জিলক্বদ, জিলহজ্জ, মহররম এবং রজব।” (সহীহ বুখারী, হাদিস: ২৯৫৮)

এই মাসে নফল রোযার বিশেষ ফজিলত

নবী করিম (সা.) বলেন, “রমাদানের পর সবচেয়ে উত্তম রোযা হলো আল্লাহর মাস—মহররমে রোযা রাখা।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৮২)

এখানে “আল্লাহর মাস” বলার মাধ্যমে মহান আল্লাহ মহররম মাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। যদিও পুরো মাস রোযা রাখা ফরয নয়, তবে যত বেশি সম্ভব নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

আশুরা দিবস: মহররমের বিশেষ দিন

মহররমের ১০ তারিখ ‘ইয়াউমে আশুরা’ নামে পরিচিত। যা ইসলামের ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নীরব সাক্ষী। এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা ফেরাউন থেকে মুক্তি পান। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ দিনে আশুরার রোযা রাখতেন এবং তা রাখার জন্য সাহাবিদের অনেক উৎসাহ দিতেন।

মুসলমাদের জন্য মহররমের গুরুত্ব

মহররম মাসে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি, তওবা, নফল ইবাদত, দান ও সহানুভূতির কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এটি নতুন হিজরি বর্ষের সূচনা হলেও শুধুই আনন্দ নয়, বরং আত্মশুদ্ধির সময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

মহররম মাস শুধু একটি পবিত্র মাস এমন নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য একজন মুসলমানের সুবর্ণ সুযোগ। এ মাসে পাপ থেকে বিরত থেকে বেশি বেশি ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনন্য সুযোগও বটে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ