বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

নবীজির ঈদ উৎসবেও ছিল ইবাদতের শিক্ষা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান 

মদীনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর থেকে শুরু হয় মুসলমানদের ঈদ উৎসব। ঈদ মুসলমানদের জন্য শুধু আনন্দের দিনই নয়, এটি কৃতজ্ঞতা, সংযম ও সামাজিক বন্ধনের এক মহান উৎসব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সা.)-এর ঈদের উদযাপন ছিল পরিমিত, ভারসাম্যপূর্ণ এবং ইবাদত-ভিত্তিক। তাঁর ঈদের উদাহরণ অনুসরণ করে আজও মুসলিম বিশ্বে ঈদের প্রকৃত অর্থ ও সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব।

ঈদের আগের প্রস্তুতি 

নবীজি (সা.) ঈদের দিন ফজরের নামাজের পর গোসল করতেন, নতুন বা পরিষ্কার কাপড় পরতেন ও সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। আমাদের সমাজে একটা প্রথা প্রচলিত আছে ঈদের দিন নতুন কাপড় পরতেই হবে। অথচ এটা জরুরি কিছু না। কাপড়টা পরিচ্ছন্ন হলেই হলো। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে খেজুর খাওয়া ছিল নবীজির সুন্নাত (সাধারণত বিজোড় সংখ্যা)। ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানির আগে কিছু না খাওয়াই তিনি পছন্দ করতেন।

ঈদের নামাজ খুতবা 

নবীজি ঈদের নামাজ খোলা জায়গায় আদায় করতেন—মদিনার ঈদগাহে। তিনি পুরুষ-মহিলা, এমনকি শিশুদেরও ঈদের নামাজে উপস্থিত হতে উৎসাহিত করতেন। নামাজের পর সংক্ষিপ্ত খুতবা দিতেন এবং মুসলমানদের তাকওয়া, দান ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করতেন।

সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া 

নবীজি (সা.) ঈদের দিন দরিদ্র, এতিম, বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি বলতেন, "ঈদের আনন্দ সবার জন্য—শুধু ধনীদের জন্য নয়।" ঈদের দিনে সাহাবিদের সঙ্গে খেলা দেখা, শিশুরা আনন্দ করছে—এসব দৃশ্য তিনি উপভোগ করতেন। এমনকি তিনি আবিসিনিয়ার লোকদের ঈদ উপলক্ষে মসজিদে নাচ-গান (শালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) করতে দিতেন। তা ছাড়া ঈদের দিন নবী কারিম (সা.) পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতেন। এক ঈদের দিন তিনি আয়েশা (রা.) কে নিয়ে লাঠি খেলাও দেখতে যান।   মোট কথা বৈধ আনন্দে তিনি বাধা দিতেন না।

সৌন্দর্যের দিক 

নবীজির ঈদে ছিল না অতিরিক্ত ব্যয়, বাহুল্য কিংবা জাঁকজমক। বরং তাঁর ঈদ ছিল ধন্যবাদ, দোয়া ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিতে পূর্ণ। ঈদের দিন তিনি বেশি বেশি "তাকবীর" (আল্লাহু আকবর...) বলতেন এবং সাহাবিদেরও তাই করতে উৎসাহ দিতেন। 

নবীজির ঈদ ছিল আনন্দ ও ইবাদতের এক অপূর্ব মিশ্রণ। তাঁর জীবনচর্চা আমাদের শেখায়—ঈদ মানে কেবল পোশাক-খাবার নয়, বরং একে অপরকে ভালোবাসা, ক্ষমা করা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ