বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কুরআন শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়- ধর্ম উপদেষ্টান ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান জুলাই ঐক্যের মুফতি মনির কাসেমীকে নিয়ে জমিয়তের নতুন সিদ্ধান্ত হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি’

‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান জুলাই ঐক্যের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোসহ কয়েকটি দাবিতে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’কর্মসূচি শেষ করেছে জুলাই ঐক্য। কর্মসূচিতে ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ সহ নানান স্লোগান দেন তারা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটায় এ কর্মসূচি শেষ হয়। এ কর্মসূচি থেকে ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানানো হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর রামপুরা সেতু এলাকা থেকে লং মার্চ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের এ লং মার্চ থামায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে প্রগতি সরণিতে অবস্থান ও বক্তব্য দেন জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা। লং মার্চ কর্মসূচি ঘিরে এদিন বিকেল ৩টা থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

লং মার্চটি হোসেন মার্কেটের সামনে অবস্থানের সময় জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব খুনি ভারতে পালিয়েছেন। ভারত এমন সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। এসব সন্ত্রাসীকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে।

বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল ভারতের সঙ্গে বন্ধত্ব করে ক্ষমতায় যেতে চায় মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছিল। এখন নতুন করে আরেকটি দল ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। এটা বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এমন বন্ধুত্ব চায় না।

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রায়ই সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে ভারত। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানিয়ে জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, এখন বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসন বন্ধ না হলে বাংলাদেশ তাদের সহযোগিতার প্রতিদান দেবে। ভারতের সেভেন সিস্টারকে স্বাধীন করতে সহযোগিতার মাধ্যমে এ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপরও ভারতের কাছে বাংলাদেশ মাথা নত করবে না।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্লোগান ধরেন- ‘বাবরের (আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজা থেকে খালাস পাওয়া বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর) পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’। তার সঙ্গে লং মার্চে থাকা কয়েকশ লোক একই স্লোগানে সুর মেলান। এসময় ‘যে ভারত খুন করে, সে ভারত ভেঙে দাও’, ‘যে ভারত হাসিনা পালে, সে ভারত ভেঙে দাও’ সহ নানান স্লোগান দেন। পরে বিকেল পৌনে পাঁচটায় লং মার্চ শেষ করে জুলাই ঐক্য।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ