মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি বইমেলায় মুফতি আবদুল্লাহ তামিমের সিরাতের ব্যতিক্রমী গ্রন্থ ‘নবীজির প্রিয় ১০০’ ৫ দফা দাবীতে কর্মসূচি ঘোষণা করল নেজামে ইসলাম পার্টি ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার ৫০ বছর ধরে কুড়িগ্রামে মসজিদ-মন্দিরের মানবতার অনন্য সহাবস্থান খাগড়াছড়ির ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন ক্যানসার আক্রান্ত মাওলানা ইনআমুল হাসান ফারুকীর পাশে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ দরসে নেজামির আলেমদের সম্পর্কে তারেক মনোয়ারের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলল জামায়াত ‘ওমরাহ করে এসে অনেক সামর্থ্যবানও আর ফরজ হজ করেন না’ ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে বহিষ্কার উপজেলা জামায়াত আমির প্রতীক আদায়ে রাজপথ কিংবা আদালতে যেতে হলে সেই পথে হাঁটবে এনসিপি: সারজিস

‘হারাম প্রলোভনে পড়ে যাওয়া যুবক ওমর কিংবা খালিদের উত্তরসূরি হতে পারে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশিষ্ট দাঈ ও ইসলামিক আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ তার সাম্প্রতিক এক আলোচনায় বলেছেন, বর্তমান সময়ের মুসলিম তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো চরিত্র ও আদর্শ রক্ষা করা। হারাম সম্পর্কের প্রলোভনে পড়ে যাওয়া যুবক কখনোই ওমর বিন খাত্তাব (রা.) কিংবা খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-এর যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারে না।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘স্রোতের তালে গা ভাসাতে কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না; কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চলতে যোগ্যতা দরকার। প্রয়োজন হয় সাহস, দৃঢ়তা ও আদর্শিক শক্তির।’ তার মতে, যে যুবক প্রতিকূল পরিবেশে নিজের ঈমান, তাকওয়া ও চরিত্র রক্ষার সংগ্রামে জয়ী হয়, তার হাত ধরেই ইসলামের সোনালি দিন ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, কেয়ামতের ভয়াবহ দিনে আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয়প্রাপ্ত সাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে একটি শ্রেণি হলো তারা—যারা তারুণ্যে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থেকেছে। এই সংগ্রামে জয়লাভ করাই নির্ধারণ করবে একজন তরুণ আল্লাহর প্রিয়পাত্র হবে কি হবে না, জান্নাতি হবে নাকি জাহান্নামি।

শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, একজন মুসলিম যুবক ও যুবতী তাদের হৃদয়ের ভালোবাসা জমিয়ে রাখে বৈধ জীবনসঙ্গীর জন্য। অন্যদিকে আদর্শহীন যুবক তার ভালোবাসাকে যত্রতত্র অপচয় করে, ফলে প্রকৃত সময় এলে তার ভালোবাসার ভাণ্ডারে টান পড়ে। তিনি বলেন, ‘মুসলিম যুবকের চেয়ে সুখী আর কেউ হতে পারে না, যদি সে নবীজি (স.)-এর আদর্শ ধারণ করে চরিত্রকে হারাম সম্পর্ক থেকে রক্ষা করতে পারে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ মনে করেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অনেক কিছু নেওয়ার আছে। তবে তাদের লাইফস্টাইল, সংস্কৃতি ও পরিবার ব্যবস্থাকে অনুসরণ করা উচিত নয়। তার ভাষায়, ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে তারা যদি আমাদের চেয়ে ১০০ বছর এগিয়ে থাকে, পরিবার ব্যবস্থাপনা ও নৈতিকতায় আমরা তাদের চেয়ে ২০০ বছর এগিয়ে আছি।’

শায়খের মতে, দুর্বল চরিত্র ও আদর্শহীন তারুণ্য কখনোই পরিবর্তনের নায়ক হতে পারে না। নায়ক হয় তারা, যারা আদর্শ আঁকড়ে ধরে প্রতিকূলতার মুখে স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে। তিনি বলেন, ‘আপনার সংগ্রামই নির্ধারণ করবে আপনি ওমর বিন খাত্তাব (রা.)-এর প্রকৃত অনুসারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেন কি না। এই সংগ্রামে জয়লাভ করলেই আপনি ইসলামের প্রকৃত সৈনিক হবেন।

 আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ