শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

২৭ খণ্ডের ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ অনুবাদ করাচ্ছে সরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ গ্রন্থের বঙ্গানুবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি মোট ২৭ খণ্ডে অনূদিত হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ সংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণী’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা  বলেন, ‘অনুবাদ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল। এক্ষেত্রে আক্ষরিক অনুবাদের পরিবর্তে যথার্থতা ও সময়োপযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলা ভাষায় ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাঞ্জল অনুবাদ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ডের গভর্নর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ নেসারুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও মাওলানা মাহফুজুল হক।

এছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আব্দুল মালেক, দেশের বিশিষ্ট অনুবাদকবৃন্দ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, ‘ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ’ শুধুমাত্র ফিকহি জ্ঞানের সংকলন নয়; এটি মুসলিম সমাজের জীবনব্যবস্থা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাই অনুবাদের ক্ষেত্রে ভাষাগত উৎকর্ষ ও বিষয়বস্তুর মৌলিকতা রক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সেমিনারে সিদ্ধান্ত হয় যে অনুবাদকদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশেষ যোগ্যতা বিবেচনা করা হবে। অনুবাদকদের ইসলামী জ্ঞানে সুদৃঢ় পটভূমি এবং ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে। একইসাথে নিরীক্ষক দলের মাধ্যমে প্রতিটি খণ্ডের অনুবাদ যাচাই ও সম্পাদনা করা হবে যাতে সঠিক ব্যাখ্যা এবং প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন সবসময় গবেষণা ও প্রকাশনার মান উন্নয়নে সচেষ্ট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইসলামিক জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ এবং বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’

অনুষ্ঠানে অনুবাদের সময়কাল, বাজেট এবং কার্যপরিকল্পনা সম্পর্কেও প্রাথমিক আলোচনা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জানান, প্রকল্পটি ৩ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুবাদের পাশাপাশি প্রতিটি খণ্ডে ব্যাখ্যামূলক টিকা সংযোজনেরও প্রস্তাব করা হয়।

সেমিনার শেষে দেশ বরেণ্য আলেম, গবেষক ও অনুবাদকদের মতামতের ভিত্তিতে একটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। সবাই আশা প্রকাশ করেন, এই অনুবাদ কর্মসূচি ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের গভীর জ্ঞান সহজবোধ্য ভাষায় পৌঁছে দেবে।

সেমিনারটি ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত । উপস্থিত অতিথিরা ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে ও তরুণ প্রজন্মের মাঝে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সরকারের এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে অভিহিত করেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ