কাদিয়ানীবাদ ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ‘খতমে নবুওয়াত’ তথা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর আর কোনো নবী নেই।এই ঈমানি আকীদার স্পষ্ট অস্বীকার। কাদিয়ানিরা নিজেদের ‘মুসলমান’ দাবি করলেও তাদের বিশ্বাস ও কর্মধারা ইসলামের মূল ভিত্তির সাথে সাংঘর্ষিক।আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন আগামী ১৫ ই নভেম্বর'-২৫ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ -এর উদ্যোগে ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ বেউথা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি মুফতি শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর সাহেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুল আরেফিন খান সাদীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমীর আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব মধুপুর বলেন,বিশ্বের বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, বিশেষ করে পাকিস্তান ১৯৭৪ সালে জাতীয় পরিষদে আইন পাসের মাধ্যমে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশেও দীর্ঘদিন ধরে উলামায়ে কেরাম, তৌহিদি জনতা ও খতমে নবুওয়াতের সৈনিকরা এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, খতমে নবুওয়ত আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ পীর সাহেব জায়গীর প্রমুখ।
এছাড়াও জেলার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন ।
আরএইচ/