শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কক্সবাজারের বদর মোকাম তা’লীমুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার নাজরানা বিভাগের ছাত্র মো. ওবায়দুল করিম মাত্র ১৬ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই মহান আল্লাহর এই বরকতময় নেয়ামত লাভ করায় আনন্দে ভাসছেন তার পরিবার, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

সে মরহুম আহমদ হোসেন ও গৃহিণী আমিনা খাতুনের সন্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাদ যোহর কক্সবাজার সদর থানা সংলগ্ন ঐতিহাসিক বদর মোকাম জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত হিফজুল কোরআন সমাপনী অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে করিমসহ আরও একজন হাফেজকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

চার সন্তানের মধ্যে ওবায়দুল করিম সবার ছোট। তার বড় ভাই শাহাব উদ্দিন তুহিম কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ছোট ভাইয়ের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও মেধা দেখে তিনি তাকে বদর মোকাম মাদ্রাসায় ভর্তি করান। করিম বর্তমানে সেখানেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

করিম ২০১১ সালের ২ নভেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পেশকার পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই পিতাকে হারান তিনি। বর্তমানে তারা রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া গ্রামে বসবাস করেন।

ছোট ভাইয়ের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে শাহাব উদ্দিন তুহিম বলেন, “আমার ছোট ভাই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আল্লাহ তাআলা যদি তৌফিক দেন, আমি তাকে ভবিষ্যতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদিনা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে চাই, ইন শা আল্লাহ।”

কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ প্রকাশ করে মা আমিনা খাতুন বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমার সন্তান অল্প বয়সেই কোরআনের হাফেজ হতে পেরেছে। এটা আল্লাহর অশেষ রহমত। আমার সন্তানের জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।”

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ