বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

সময়ের আগে-পরে সাহরি-ইফতার করলে রোজা থাকবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহিউদ্দীন মাআয

পবিত্র মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সিয়াম সাধনা করে থাকেন। সুবহে সাদিকের আগে সাহরি সেরে রোজার নিয়ত করেন। সারাদিন আল্লাহর হুকুম পালন করে সূর্যাস্তের পর ইফতারির মাধ্যমে একটি রোজা পূর্ণ করেন। সাহরি ও ইফতারির এসময় আল্লাহর তায়ালার নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন—

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। (সূরা বাকারা, আয়াত,১৮৭)

সুতরাং কেউ ‘সময় আছে’ মনে করে সাহরি করল, পরে জানা গেল সময় আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে—তাহলে তার রোজা হবে না।

এবং ‘সময় হয়ে গিয়েছে’ মনে করে ইফতার করল, পরে জানা গেল এখনো সময় হয়নি—তাহলে তার রোজা পূর্ণ হবে না। বরং উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় রোজা কাযা করতে হবে। তবে কাফফারা করতে হবে না।( আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫;)

হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, রমযানের এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে সময় হয়েছে মনে করে ইফতার করেছি। এরপর সূর্য দেখা গেল। এখন আমি কি শুধু ঐ দিনের রোযার কাযা করব, না আমাকে কাফফারাও আদায় করতে হবে? আতা রাহ. বললেন, হাঁ, (শুধু কাযা করবে)। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৯১৪৭)

এ বিষয়ের বহু উদাহরন পবিত্র হাদীসগ্রন্থে উল্লেখ আছে— হযরত আসমা রা. বলেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক মেঘলা দিনে আমরা সূর্য ডুবে গেছে নিশ্চিত জেনে ইফতার করলাম। পরক্ষণেই মেঘ সরে গিয়ে সূর্য প্রকাশিত হল।’ হাদীসের রাবী হিশামকে জিজ্ঞাসা করা হল, তাদেরকে কি রোযা কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? তিনি বললেন, কাযা ছাড়া তো উপায় নেই। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৫৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৯)

হযরত বিশর ইবনে কায়েস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রমযানে বিকেল বেলা উমর রা.-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উমর রা. সূর্য ডুবে গেছে মনে করে নিজেও পানি পান করলেন এবং আমাকেও পান করালেন। পরক্ষণেই সূর্য দেখা গেল। উমর রা. বললেন, ‘সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে একটি রোযা কাযা করাই যথেষ্ট হবে।’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/৫৬৬;)

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ