রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে: ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ মাদরাসা অ্যাসোসিয়েশন রুপনগর থানার শিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এরদোয়ান কি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন? ৪৯৭৮ হাজিকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে বেঁচে যাওয়া টাকা কোনো ব্যক্তি বা দলের চরিত্রহনন অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়: জামায়াত আমির আফগানিস্তানের কথা শুনলেই তারা অসুস্থ হয়ে যান! মসজিদ করে দেবে বাসমাহ ফাউন্ডেশন, আবেদন করুন আজই আবু সাইদ হত্যা মামলায় ২৪ আসামিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ মিষ্টি না খেয়েও বাড়ছে সুগার? জানুন আসল কারণ বিএনপি চরিত্রহীন হলে জাতির কপালে দুর্ভাগ্য নেমে আসবে: মাওলানা ইউসুফী

ইসরায়েলি হামলায় ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত, থমকে গেছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজা উপত্যকায় শনিবার দিনভর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন ছিলেন দক্ষিণ রাফাহর ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ এর সামনে খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায়।

আল-জাজিরা জানায়, এ হামলার পর কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি থমকে যায়। একইসঙ্গে গাজার জনসংখ্যাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনাও বেড়ে যায়।

রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা জিএইচএফের সামনে অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি গুলি চালায়।

বেঁচে যাওয়া সামির শাআত বলেন, “সেই জায়গাটি রক্তের সাগরে পরিণত হয়েছিল। যারা খাদ্যের ব্যাগ নিতে এসেছিল, সেই ব্যাগই তাদের জন্য কাফনের কাপড় হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম করে বলছি, এটি ছিল শুধু একটি মৃত্যুকূপ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আমার এক শহীদ বন্ধুকে কাঁধে করে নিয়ে হাঁটছিলাম। চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বারবাখ বলেন, “ইসরায়েলি স্নাইপাররা আমাদের হাঁস-মুরগির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। এটা ছিল ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যা।”

এদিকে, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত স্থানগুলোকে ‘মানব হত্যাকেন্দ্র’ ও ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ