নিউইয়র্কের মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত নতুন প্রার্থী জোহরান মামদানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের "গ্রেপ্তার ও নির্বাসনের" হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে 'মার্কিন গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই 'ভয় দেখানো' মেনে না নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
মামদানি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমাকে গ্রেপ্তার করার, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার, আটক শিবিরে রাখার এবং নির্বাসনের হুমকি দিয়েছেন। তবে আমি কোনো আইন ভঙ্গ করিনি, বরং আমি আইসিই (ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট) কে আমাদের শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "এই মন্তব্য কেবল আমাদের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ নয়, বরং এটি নিউ ইয়র্কের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি আপনি কথা বলেন, তারা আপনাকে গ্রেপ্তার করার জন্য আসবে। আমরা এই হুমকি মেনে নেব না।"
জোহরান মামদানি, যিনি ৭ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন এবং ২০১৮ সালে নাগরিকত্ব লাভ করেন, তার এ মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন যে তিনি কখনোই ট্রাম্পের ভয় দেখানো বা হুমকি মেনে নেবেন না।
এর আগে ট্রাম্প মামদানিকে "পুরোপুরি বোকা" বলে আক্রমণ করেছিলেন। এক গোলটেবিল বৈঠকে, আইসিই'র বিরুদ্ধে মামদানির অবস্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ট্রাম্প বলেন, "তাহলে আমাদের তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি এই কমিউনিস্ট পাগলকে নিউ ইয়র্ক ধ্বংস করতে দেব না। সব কার্ড আমার কাছে আছে।"
এর আগে ট্রাম্প তার রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে হিলারি ক্লিনটন ও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে। তবে, তিনি কখনোই এসব বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ জানাননি।
গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানি নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
মামদানি ফিলিস্তিনের একজন সোচ্চার সমর্থক এবং ইসরায়েলের সমালোচক। কলেজে থাকাকালীন তিনি 'প্যালেস্টাইন স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস' সংগঠনের শাখা সহ-প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে অনশন ধর্মঘটে যোগ দেন।
এমএইচ/