বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৫ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

গজনীতে প্রায় ২০ হাজার আফগান নারী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| ইনজামামুল হক ||

আফগানিস্তানের গজনীর শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে ২০ হাজার আফগান নারী প্রায় ২৫০টি ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এবং প্রায় ২৩ হাজার নারী প্রদেশের কমিউনিটি-ভিত্তিক শ্রেণিতে অংশ নিচ্ছে।

শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে, বর্তমানে গজনিতে ৯৫০টি কমিউনিটি-ভিত্তিক শ্রেণি সক্রিয় রয়েছে।

গজনির শিক্ষা পরিচালক মীর নাসির আহমদ হোসেইনি টোলো নিউজ কে বলেন, “বর্তমানে গজনিতে প্রায় ২৫০টি ধর্মীয় বিদ্যালয় সক্রিয়, যেখানে প্রায় ২০ হাজার আফগান নারী পড়াশোনা করছে।”

এদিকে, খাজা ওমারি জেলায় সম্প্রতি নারীদের জন্য একটি নতুন ধর্মীয় বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের তহবিলে নির্মিত হচ্ছে। এটি ওই জেলায় পঞ্চম ধর্মীয় বিদ্যালয় এবং এর নির্মাণ খরচ স্থানীয় বাসিন্দারাই বহন করছেন।

বিদ্যালয়টি নির্মাণে আনুমানিক খরচ হবে ২০ লক্ষ আফগানি। এটির নির্মাণ সম্পন্ন হলে অন্তত ১২০ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষার একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।

খাজা ওমারি জেলার শিক্ষা প্রধান মতিউল্লাহ ফারুকি বলেন, “এটি ৭.৫ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে, যা স্থানীয় গ্রামবাসীরা দান করেছেন। বিদ্যালয় ভবনে ছয়টি শ্রেণিকক্ষ, একটি প্রশাসনিক অফিস, একটি পানির কূপ, একটি মজুত ঘর, একটি আঙিনা এবং আধুনিক টয়লেট থাকবে।”

গজনির বাসিন্দারাও মেয়েদের ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি সহায়তা ও সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।

গজনির বাসিন্দা আসাদুল্লাহ টোলো নিউজ কে বলেন, “আগে আমেরিকান শাসনামলে নারীদের মধ্যে শিক্ষার হার কম ছিল, কারণ তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বিদ্যালয় ছিল না। এখন এখানে একটি বিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে, আমরা সবাই খুশি।”

এর আগে আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত মাসে জানিয়েছিল যে, ক্ষমতায় আসার পর প্রায় চার বছরে দেশজুড়ে ১,১০০টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ