বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান পীর সাহেব মধুপুরের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আগামী ১৫ নভেম্বর, শনিবার, রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে ‘খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি’।

এই মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আফতাবনগর মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির পরামর্শ সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমীর ও পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আবদুল হামিদ।

সভায় পীর সাহেব মধুপুর দেশব্যাপী তৌহিদী জনতা, ওলামায়ে কেরাম, ছাত্র-তরুণ এবং ঈমানদার জনগণকে মহাসমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কাদিয়ানীরা অমুসলিম, কারণ তারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পরেও নবী আসার বিশ্বাস করে—যা সরাসরি কুফরী আকীদা। তারা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী মনে করে এবং কুরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে নিজস্ব বিকৃত ব্যাখ্যাকে ধর্মরূপে প্রচার করে। মুসলমানদের ‘কাফের’ বলেও তারা আখ্যায়িত করে। এসব কর্মকাণ্ড ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা রশিদ আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক। পরিচালনা করেন মুফতি ইমাদ উদ্দীন ও মুফতি আবুল কাসেম আশরাফী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ আলী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়ণগঞ্জ), মাওলানা আব্দুল কাদের, মুফতি সাঈদ নুর, মুফতি সালাউদ্দীন (দিলু রোড), মাওলানা লেহাজ উদ্দীন ভূঁইয়া, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ (পীর সাহেব জায়গীর), মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা আহমদ উল্লাহ, মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মাওলানা শামসুল আরেফিন সাদী খান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা হোসাইন আহমদ ইসহাকী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি শফিক সাদী, মাওলানা মাসউদুর রহমান আইয়ুবী, মাওলানা নাজমুল হাসান বিন নুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি হায়াত মাহমুদ জাকির, খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান পার্লামেন্ট এবং বহু মুসলিম দেশ কাদিয়ানীদের আইনগতভাবে অমুসলিম ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশেও এই ভ্রান্ত ফেরকার বিরুদ্ধে একইরকম রাষ্ট্রীয় অবস্থান গ্রহণ জরুরি।

পীর সাহেব মধুপুর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে, ইসলাম ও মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে তাদের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার পাশাপাশি তাদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ