বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ।। ২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২২ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
৯ দফা দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে খেলাফত মজলিস প্রার্থীর গণসংযোগ অব্যাহত হেফাজতের রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা গোলাপগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, এরদোয়ানের কঠোর বার্তা জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  নির্বাচন ঠেকাতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল ষড়যন্ত্রমূলক জঙ্গি মামলার প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান আসিফ আদনানের সাজানো জঙ্গি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের মানববন্ধন পতিত ফ্যাসিস্ট-খুনীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খেলাফত মজলিস

প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কানাডার সাধারণ নির্বাচনে মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন জিতেছে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজ। তবে ৩৩৮ আসনের হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। খবর বিবিসির। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সিবিসি বলছে, লিবারেলরা ১৫৬টি আসন পেয়ে জয়ের পথে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২ আসন থেকে তারা এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের পূর্বাভাস দেওয়ার পর দলটির সদর দপ্তরে উল্লাস ধ্বনি শোনা যায়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ নাকি সংখ্যালঘু সরকার হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মার্ক কার্নি যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকছেন, তা প্রায় নিশ্চিত।

এদিকে, লিবারেল সরকার গঠনের খবরে বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টির শিবিরে হতাশা নেমে এসেছে। তাদের সমর্থকরা ফল নিয়ে অস্থিরতা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা এখনও আশা করছেন, লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।


তবে টরন্টো-সেন্ট পলস আসনে লিবারেল পার্টির জয় নিশ্চিত হওয়ার খবর সিবিসি সম্প্রচার করার পর লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে আবারও উল্লাস ধ্বনি শোনা যায়। এই আসনটি লিবারেল পার্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়। গত গ্রীষ্মে উপনির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরে যাওয়ার আগে লিবারেল পার্টি তিন দশক ধরে এই আসনটি নিয়ন্ত্রণ করত।

এই পরাজয় লিবারেল পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল এবং ইঙ্গিত দিয়েছিল, দলটি উল্লেখযোগ্য সমর্থন হারাচ্ছে। এই পরাজয়ের কারণেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। এরপর প্রায় ছয় মাস পরে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

দেশটির ৩৪৩টি ফেডারেল আসনে ভোটাররা কেবল তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। যে দলের নেতৃত্বে হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জিত হবে, সেই দল সরকার গঠন করবে এবং দলের নেতা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

যদি কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে সাধারণত সর্বাধিক আসন পাওয়া দল সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে এবং সরকার টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের কিছু সদস্যের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ