প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা— দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫' প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এখন থেকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন মিলে 'বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম' নামে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আপাতত নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন। তারা আজ মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এর ফলে সচিবালয়ের এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যদি সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো না যায়, তাহলে এই অধ্যাদেশ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে একটি বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাপক উৎসাহ সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নগণ্য— এটি বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনেক দিন ধরেই আলোচিত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ঋণদাতা দেশও জাপান। শুধু জাপানি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও। কিন্তু সম্পর্কের এ ঘনিষ্ঠতা বাংলাদেশে জাপানের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবাহে তেমন দৃশ্যমান নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই স্টকের (পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) স্থিতি ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর সঙ্গে জাপান টোব্যাকোর (জেটি) বিনিয়োগপ্রবাহ বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই ২০০ কোটি ডলারের মতো হবে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আসায় জেটির বিনিয়োগের উৎস দেশ হিসেবে জাপানকে বিবেচনা করা হয়নি। তার পরও বিনিয়োগের এ অংককে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম বলে মনে করছেন বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এখনো ঐকমত্য হয়নি— দৈনিক প্রথম আলো'র দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতার ভারসাম্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রশ্নে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এমন মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করবে কমিশন। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার মাধ্যমে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে তারা। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গত ২০শে মার্চ শুরু হয়ে ১৯শে মে পর্যন্ত ৩৩টি দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়। এ–সংক্রান্ত অগ্রগতি জানাতে গতকাল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফর শেষে দেশে ফেরার পর আগামী পহেলা বা দোসরা জুন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হবে। সমস্যাগ্রস্ত ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হচ্ছে— সমকাল পত্রিকার শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, চরম খারাপ অবস্থায় থাকা ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি— এ তিন সূচকের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে একটি বা দু'টি প্রতিষ্ঠান হতে পারে। গড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের ৮৩ দশমিক ১৬ শতাংশ খেলাপি। মোট ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে লোকসান ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। মূলধন ঘাটতি রয়েছে ১৯ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। তাদের লাইসেন্স কেন বন্ধ করা হবে না— জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গত জানুয়ারি থেকে এ কমিটি কাজ করছে। কমিটিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও একীভূতকরণে আইনগত ও কারিগরি ঝুঁকি বা প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করতে বলা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও উৎস বের করতে বলা হয়। আর্থিক সূচক, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সম্পদ দায়ের পরিমাণের ভিত্তিতে যা ঠিক করতে হবে। 2.1m people lost jobs, and 86% of them women বা ২১ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই নারী— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী খবরটিতে বলা হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি কিছু ক্ষেত্রে স্থবির হয়ে পড়েছে বা পিছিয়ে যাচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ৪১ শতাংশ বলা হলেও, প্রকৃত অংশগ্রহণ মাত্র ১৯ শতাংশের কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, "এর মানে হচ্ছে প্রতি ১০০ নারীর মধ্যে মাত্র ১৯ জন কোনও না কোনও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সবাই কাজ পান না।" গতকাল সিটিজেন'স প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি, বাংলাদেশ ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ আয়োজিত 'অ্যাডভান্সিং জেন্ডার-রেসপন্সিভ বাজেটিং অ্যান্ড এফএফডি৪ আউটকাম' শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই— দৈনিক আজকের পত্রিকা'র প্রধান শিরোনাম এটি। এই প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন নিয়ে করা। সংবাদ সম্মেলনে দেশের আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সেনাসদরের অপারেশনস শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এবং সেনাসদরের অপারেশনস শাখার স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম । প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার এই সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার, আরাকান আর্মি, রাখাইন করিডর, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কসহ নানা বিষয় উঠে আসে । প্রশ্নোত্তর পর্বে এই দুই সেনা কর্মকর্তা বলেন, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনও কাজে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না । তবে সরকারের সঙ্গে বাহিনীর সম্পর্ক অনেক ভালো। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা স্পষ্টভাবে বলে, "সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, তা সত্য নয়।" সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছে, হুঁশিয়ারি হাসনাতদের— সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হয়েছে, 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা দুপুর আড়াইটার দিকে সোমবারের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন। তারা আজ মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারাদেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা বা হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সংস্কারে 'বাধা দিয়ে' কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি। মৃত্যুমুখী শিল্প বেকারত্ব চরমে— কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের উচ্চমূল্য, জ্বালানি খাতে অস্থিতিশীলতা, ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণেই চাপে রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, ৬০ শতাংশের বেশি কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে না। ব্যাংকে সুদ বেড়েছে, গ্যাস নেই, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি—সব মিলিয়ে শিল্প বন্ধ হওয়ার পথে। সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎ ঠিকমতো দিতে পারছে না। অথচ নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এদিকে গত এক বছরে বেকার বেড়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে দেশে কর্মসংস্থানে এই প্রভাব পড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেকারদের বড় অংশ-ই হলো নারী। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মূলধন ঘাটতির কারণে বিদ্যমান ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতে সংকট আরও গভীর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি থেকে সরবে না বিএনপি— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়ে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বিএনপি। তবে তারা সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ করে, তা দেখে পরের করণীয় ঠিক করবে। দলটি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি থেকে সরছে না, এটা নিশ্চিত বলা চলে। সরকার স্পষ্ট সময়সূচি না দিলে কর্মসূচির দিকে যাবে বলে দলটি। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না হলে রাজনৈতিক কর্মসূচি নতুন মাত্রায় নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সভা-সমাবেশ, সেমিনারসহ নানা ফোরামে এ ইস্যুতে চাপ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। তবে তখনও সন্তুষ্ট হতে পারেনি তারা। কারণ, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের কোনও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন না করে আগের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার: প্রধান উপদেষ্টা— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এই শিরোনামে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মার্কিন কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক। তখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে বলেছেন, সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, বাস্তব অবস্থা যাচাইয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে সরকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছে। তিনি বলেন, যেকোনো সাংবাদিক যেকোনও সময় বাংলাদেশে আসতে পারেন। হঠাৎ আইনশৃঙ্খলার অবনতি— যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যেভাবে চলছে তা অব্যাহত থাকলে সামনের পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাই। তারা জানান, বেশকিছু কারণে আশঙ্কা বাড়ছে। যেমন–পুনর্গঠিত জেলা ও বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে পুলিশকে অবমূল্যায়ন, মব ভায়োলেন্স, পুলিশকে ভয় না পাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। বিশেষ করে ঢাকায় এই অপরাধের মাত্রা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেক এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকেই সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অপরাধের তাৎক্ষণিক প্রতিকার চেয়ে তারা কোনও সুফল পাচ্ছেন না। এনএইচ/