ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে পরিত্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডির পর অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তে ইসরায়েল ক্ষুব্ধ।
অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ইসরায়েলি কট্টরপন্থী রাজনীতিক সিমচা রথম্যানের ভিসা বাতিল করেছে। রথম্যান অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সরকার জানায়, যারা ঘৃণা বা বিভেদের বার্তা ছড়াতে চান, তাদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এর জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করেছে এবং সতর্ক করেছে যে, ভবিষ্যতে অস্ট্রেলীয় সরকারি ভিসার আবেদন কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস আলবানিজকে একজন দুর্বল নেতা হিসেবে মনে রাখবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক মন্তব্য করেছেন, নেতানিয়াহুর ক্ষোভের মূল কারণ হলো অস্ট্রেলিয়ার ফিলিস্তিন স্বীকৃতি। তিনি আরও বলেন, ‘শক্তির মানে মানুষকে হত্যা বা খাদ্য–পানির সংকটে রাখা নয়।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জানিয়েছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধে নিরীহ মানুষ যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছে এবং খাদ্য–পানির সংকটে পড়ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদও নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে একজন নেতাকে সবচেয়ে শক্তিশালী করে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত রাজনীতিক।’
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এসএকে/