প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'আবার পাল্টাপাল্টি হামলা'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের হেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এরপর ভারত 'অপারেশন সিঁন্দুর' নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অভিযান চালায়, আর পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে।
পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। দুই দেশের বিমানবন্দর ও হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে এবং শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
ভারতের ২০টির বেশি বিমানবন্দর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারতের বিরোধী দলগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নেতারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান ও সৌদি আরব, দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালাও যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে, আর এর প্রভাব সীমান্ত ছাড়িয়ে পুরো অঞ্চলে পড়তে পারে। শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন দুই দেশের নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'রাতভর যমুনার সামনে বিক্ষোভ'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্র-জনতা ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভে বসে।
তারা জানায়, গণহত্যা, ছাত্রদের ওপর হামলা ও উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আওয়ামী লীগ ও তার কিছু সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং প্রয়োজনীয় আইন দেশের মধ্যে আছে।
এর মধ্যেই যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে বলেন, আগে মূল দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না।
যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান চলাকালে তারা আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং সামাজিক মাধ্যমে সবাইকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়।
পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ও নিশ্চিহ্ন করতে হবে এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'আবদুল হামিদের দেশত্যাগে আবারও 'চাপে' রাষ্ট্রপতি!'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করায় দেশজুড়ে নতুন করে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, রাষ্ট্রপতির অফিসের ফোনকলের পরই আবদুল হামিদকে বিমানবন্দর থেকে যেতে দেওয়া হয়।
এনসিপিসহ কয়েকটি দল ও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ঢাকায় বিক্ষোভ করে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে প্রতিবাদ জানায়।
সরকার দাবি করেছে, যারা আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে।
আবার কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাওয়া মূলত রাজনৈতিক সংকট তৈরি এবং নির্বাচন বিলম্বের কৌশল।
গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকলেও আবদুল হামিদ এতদিন দেশে ছিলেন।
অবশেষে তিনি পরিবারসহ ব্যাংকক পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও কোনো সংস্থার কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তিনি বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। এখন এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চাপে রয়েছেন।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, 'ইমেজ উদ্ধারে কূটনৈতিক তৎপরতা জামায়াতের'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন সামনে রেখে তাদের ইমেজ পুনরুদ্ধার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।
গত নয় মাসে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অন্তত ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
আমীরসহ শীর্ষ নেতারা ইউরোপ, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।
এসব সফর ও বৈঠকে দলটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছিল, তার বিপরীতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক জামায়াত কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেছেন।
এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গেও জামায়াত নেতাদের বৈঠক হয়েছে। দলের নেতারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ জামায়াতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে এবং দলটির কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিল।
তবে বর্তমানে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্র উন্মুক্ত হওয়ায় তারা আবারও সক্রিয় হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
তারা বলছে, বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাচ্ছে এবং এই কূটনৈতিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলবে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'Depleting reserves deepening crisis: why gas shortfall has no quick fix TBS' অর্থাৎ, 'গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে: কেন গ্যাস ঘাটতির দ্রুত সমাধান নেই?'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের গ্যাস সংকট ছিল না বললেই চলে। চাহিদা ও সরবরাহের পার্থক্য ছিল খুবই সামান্য। তবে বর্তমানে প্রতিদিন ১,১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে—যা মোট চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ।
এদিকে, গ্যাসক্ষেত্রগুলো ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে, নতুন কোনো বড় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারও হয়নি। ২০১৭ সালে যেখানে গ্যাস উৎপাদন ছিল ৯৭২ বিলিয়ন ঘনফুট, সেখানে ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে ৭৪৭ বিলিয়নে।
অথচ শিল্প ও রপ্তানি বেড়েছে। গ্যাসের দাম কয়েক ধাপে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হলেও সরবরাহ ও চাপ কমে গেছে। বহু শিল্প কারখানা যেমন আশুলিয়ার লিটল স্টার স্পিনিং মিল বা ফতুল্লার ডাইং কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদন রাখতে পারছে না।
গ্যাস না থাকায় অনেক সময়ই যন্ত্রপাতি বন্ধ থাকে, ক্ষতির অঙ্ক কোটি টাকায় পৌঁছায়। সরকারের ভরসা ছিল এলএনজি আমদানির ওপর, কিন্তু দামের অস্থিরতা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো সেই পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করেছে।
দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানেও গতি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু আগেই এই সংকটের পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, শিল্পে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাড়ানো হবে, যা কিছুটা স্বস্তি দিলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়।

নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, 'রাখাইনে মানবিক করিডোরের সাথে চীন জড়িত নয় : রাষ্ট্রদূত ওয়েন'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে যে মানবিক করিডোর চালু হয়েছে, তাতে চীনের কোনো ভূমিকা নেই। এটি জাতিসংঘের উদ্যোগ, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে তিনি জানান, চীন প্রস্তুত আছে, এখন বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিলেই প্রকল্প শুরু করা সম্ভব।
এটি তিস্তা পাড়ের মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। প্রকল্পটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার এবং উভয় দেশের উচিত উত্তেজনা কমানো।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক অস্থিরতার মধ্যেও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, চীন সবসময় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বতন্ত্র উন্নয়নের পথে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
একইভাবে বাংলাদেশও 'একচীন নীতি' মেনে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। এই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতা ভবিষ্যতেও সম্পর্ক দৃঢ় রাখবে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'দেশে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কওমি'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা হলো কওমি মাদ্রাসা।
দরিদ্রতার কারণে অনেক পরিবার সন্তানদের সাধারণ স্কুলের বদলে কওমি মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছে, কারণ এখানে বিনামূল্যে বা কম খরচে পড়ার সুযোগ থাকে এবং আবাসিক ব্যবস্থাও রয়েছে।
বেফাক নামক কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত তিন বছরে ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। শুধু বেফাক নয়, অন্যান্য বোর্ডগুলোর অধীনেও মাদ্রাসা ও শিক্ষার্থী বাড়ছে।
এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান শহরের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে চালানো হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষার্থী কমছে, বিপরীতে কওমি মাদ্রাসায় বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্রতা, ধর্মীয় মনোভাব ও সাধারণ শিক্ষার মান ও মনিটরিং ঘাটতির কারণে মানুষ কওমি মাদ্রাসার দিকে ঝুঁকছে।
তবে এ শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো সরকারি মনিটরিংয়ের বাইরে। সরকার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমতুল্য স্বীকৃতি দিলেও চাকরি বা উচ্চশিক্ষায় কওমি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকছে।
শিক্ষাবিদরা মনে করেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে মানসম্মত ও উপযোগী করে তুলতে সরকারি নীতিমালার আওতায় আনা জরুরি।
এতে শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে। সেই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার পরিবেশ, তথ্য ও কারিকুলাম নিয়ে একটি সুস্পষ্ট জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

সমকালের প্রথম পাতার খবর, 'থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, মুহূর্তেই শেষ পরিবার'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন সদস্যসহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একটি অ্যাম্বুলেন্স চাকা পাংচার হওয়ায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সের আরোহীরা চাপা পড়েন।
ঘটনাস্থলে সাহেদা বেগম নিহত হন, পরে হাসপাতালে মারা যান তাঁর স্বামী সামাদ ফকির, ছেলে বিল্লাল, মেয়ে আফসানা ও চালক মাহাবুব।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যান বিল্লালের স্ত্রীর বোন ও তাঁর দুই মেয়ে। বাসটির সুপারভাইজার ও হেলপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। একই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ১০ জন।
গোপালগঞ্জে মুরগি বহনকারী পিকআপভ্যান গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তিনজন নিহত হন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পিকআপ-ট্রেলারের সংঘর্ষে তিনজন, কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজছাত্র, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইজিবাইকের ধাক্কায় এক শিশু, যশোরে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী, লক্ষ্মীপুরে ট্রাকচাপায় এক কৃষি কর্মকর্তা ও রংপুরে পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এনএইচ/