গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অনাহারে পাঁচজন এবং মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে আরো ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের অব্যাহত আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ১৫৮ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার (৬ আগস্ট) জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭৭১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ফলে ইসরাইলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা এক লাখ ৫১ হাজার ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, অনাহার ও অপুষ্টিতে আরো পাঁচজন মারা গেছেন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অনাহারে নিহতের সংখ্যা ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৯৬ শিশুও রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে আরো ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৭০ জন আহত হয়েছেন। এতে ২৭ মে থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা এক হাজার ৬৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ১১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দুই মাসের মধ্যেই ইসরাইল আবারো ব্যাপকহারে সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে। গত ১৮ মার্চ ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে নয় হাজার ৭৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৭ হাজার ৪০১ জন আহত হয়েছেন। এর আগে, ইসরাইল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ জুলাই থেকে ইসরাইল গাজায় মাত্র ৮৪৩টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। যা গাজার বাসিন্দাদের ১০ দিনের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন এমন ছয় হাজার ট্রাকের তুলনায় অনেক কম।
উল্লেখ্য, গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি
এমএইচ/