জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেছেন, শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই সিলেবাস পড়িয়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অর্ধেক সুবিধা ভোগ করছে। বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ সব জায়গায় বৈষম্য দূর করতে একটাই রাস্তা সেটা হলো জাতীয়করণ।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি প্রিন্সিপাল আমীর হুসাইন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল আলী আকবরের পরিচালনায় বিকেল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি এবিএম জাকারিয়া বলেন, জাতীয়করণ ঘোষণার পূর্বেই ফাসিস্ট সরকার পতনের মাস আগস্ট থেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা চালু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময় মত পান না। ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং হয়রানি বন্ধ করে অবসরে যাওয়ার অনধিক ছয় মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ভাতা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর আজ ৩ আগস্ট রোববার জেলা ও নগর শাখার পক্ষ থেকে জাতীয়করণসহ কয়েকটি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মহোদয়গণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়।
সারাদেশে বগুড়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর,,চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ,ভোলা উত্তর,বরিশাল জেলা,বরিশাল মহানগর,রাঙ্গামাটি,পঞ্চগড়, বান্দরবন,পটুয়াখালী,নাটোর,ফরিদপুর, রাজবাড়ী,মাদারীপুর, ঝিনাইদহ,ঝালকাঠি,ময়মনসিংহ মহানগর, শেরপুর,মাগুরা, মেহেরপুর,কুড়িগ্রাম,গাইবান্ধা, রংপুর জেলা ওমহানগর,টাঙ্গাইল,গাজীপুর,নরসিংদী,নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর,মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ,খুলনা জেলা ও মহানগরসহ প্রায় সকল জেলা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে নগর দক্ষিণ এর মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক ডাক্তার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম জাহিদ তিতুমীর,কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্কুল বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক সুলতান আহমদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে দুআ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. মাসুম রব্বানী আল আযহারী।
এমএইচ/