জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ অফিস ও তার কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
ঢাকা জেলার নেতৃবৃন্দ আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা জেলার সভাপতি মাওলানা আফজাল হোসাইন রাহমানী, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মুফতি মাহবুবুল আলম কাসেমী ও মাওলানা নজরুল ইসলাম তাহের প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে আসছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দলটি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।
তবে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার জাতীয় ঐক্যের কোনো আলাপ-আলোচনায় না গিয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে একটি ৩ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় অফিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ বলে দলটির দাবি।
স্মারকলিপিতে তুলে ধরা দেশের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. এই চুক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
২. জাতিসংঘের এই কমিশন মানবাধিকারের নামে সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি ও ধর্মবিরোধী মতপ্রকাশকে উৎসাহিত করবে।
৩. বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৪. পার্বত্য অঞ্চলে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা দেখা দেবে।
৫. দেশের মুসলিম পারিবারিক ঐতিহ্য মারাত্মকভাবে প্রভাবিত ও ধ্বংস হবে।
জমিয়তের নেতারা স্মারকলিপিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এই চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা হোক।
এমএম/