অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশের মানুষ যেন শাপলার শহীদদের ভুলে না যায় এজন্য শাপলা চত্বরে শহীদদের নাম স্থায়ী অবকাঠামোতে লিখে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদদের পরিবারের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া ও শহীদ পরিবারের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি শাপলার ঘটনা ও শহিদদের নিয়ে সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শহীদদের রক্ত বৃথা যায় না, শাপলা চত্বরের ৫ মে ও ২৪ আগস্ট একই সুতোয় গাঁথা।
উপদেষ্টা বলেন, শাপলা চত্বরে শহীদদের স্বীকৃতি ও সামান্য উদ্যোগ নিতে পেরে আমরা গর্ব বোধ করছি।
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো হেফাজতের আন্দোলন যৌক্তিক ছিলো, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি।
ড. খালিদ বলেন, জুলাইয়ের নিহত-আহদের নিয়ে ৮ খণ্ডের প্রামাণ্যচিত্রের আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। শাপলার হত্যাযজ্ঞেরও আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রামাণ্যচিত্র করা প্রয়োজন।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫৮ শহীদ পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী (সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ)।
অনুষ্ঠানে হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলএইস/