||জিয়া হক||
ফুল কাঁদে পাখি কাঁদে কাঁদে দিল মনটা
জগতের সব কাঁদে— বিদায়ের ক্ষণটা
রোদ কাঁদে মেঘ কাঁদে কাঁদে ঝড়-বৃষ্টি
কাঁদে দুই জাহানের মাখলুক সৃষ্টি!
বুক ফেটে যায় মা গো কী হয়েছে বুঝি না
হারিয়েছে কী আমার, আমার কী খুঁজি না
খুঁজে খুঁজে হয়রান কিছু নেই— শূন্য
কেন খোদা হলে তুমি এত মনঃক্ষুণ্ন!
কেঁদে যায় কবিতার সুর-তাল ছন্দ
আকাশে বাতাসে কাঁদে ভালোবাসা দ্বন্দ্ব
কাঁদে সাত আসমান কাঁদে হুর পরিও
কাঁদে হাউমাউ করে সময়ের ঘড়িও।
ঝর্নার ধারা কাঁদে, কাঁদে নীল পাহাড়ও
কাঁদে রূপ ঋতুরাজ বসন্ত বাহারও
কাঁদে শীত গ্রীষ্মের ফুলপাখি সব তো
বুক ভেসে যায়, চোখে জল টপাটপ তো।
দেশ-জাতি বুঝে গেছে কান্নার মানে কী
অদ্ভুত আঁধারের ফিউচার পানে কী
হাজার বছর যাবে এই নেতা পাবো না
মাটির মানুষ হাদি একবার ভাবো না।
জনতার কাতারেই মিশে যাওয়া স্বভাবে
বাঁচবো কী বুকে নিয়ে মহাবীর অভাবে
হারিয়েছি আমাদের মহাকাল-রত্ন
ভুলে ভুলে বুঝি নাই আজাদির যত্ন!
ফুল ফুটে ঝরে যায়, ঝরে যায় গন্ধ
নিয়তির ইতিহাস মায়াহীন— মন্দ
সাহারায় ঝর্নার ধারা কেন ছোটে না
মন-দিল কেঁদে যায় কেন বুঝে ওঠে না।
আমাদের শরিয়ত আমাদের তিতুমির
শাহাদার সুধাতেই আজকের জিতু বীর
এই বীর আমাদের ওসমান হাদি যে
ষোলো কোটি মানুষের সকলেই কাঁদি যে।
কেঁদে কেঁদে হয়রান কেউ আর হোস নে
শোক হোক শক্তি, শেরে আলি জোস নে
এই দেশ এই মাটি শহিদেই উর্বর
হা*দিদের অনুসারি অবিনাশী দুর্মর।
ওসমান হাদিরাই সাহসের সূর্য
মাহদি আসেন ওই বাজে রণতূর্য
আজাদির জজবায় বিজয়ের সূচনা
শহিদের কাফেলার কেউ চোখ মুছো না।
হাদি হোক আমাদের চেতনার বাতিঘর
হাদির আদর্শ-ই চিরকাল সাথি কর
হাদিদের রক্তেই ইতিহাস লেখা হয়
আজাদির চশমায় মহাকাল দেখা হয়।
এনএইচ/