শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

পাপ ও পুণ্যের বোঝা বহন করবে যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষের ওপর যেসব কারণে বিপদ আসে, তার অন্যতম হলো গুনাহ। গুনাহর কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় নেমে আসে। তার প্রভাব মানুষের জীবনযাত্রায় পড়ে। সর্বত্র অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদ করান, যাতে তারা ফিরে আসে। (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১)
শুধু সতর্ক করেই শেষ করেননি, বরং পূর্ববর্তীদের যারা মহান আল্লাহর নাফরমানি করেছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছে, তা দেখার জন্য ভ্রমণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

এর পরের আয়াতেই মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘বলো, তোমরা জমিনে ভ্রমণ করো। অতঃপর দেখো পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগই ছিল মুশরিক।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১-৪২)
তাই মুমিনের উচিত সব ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং গুনাহর কাজে কাউকে সহযোগিতা করা থেকে সতর্ক থাকা।

কারণ ইসলামে পরস্পর সহযোগিতার ভিত্তি হলো তাকওয়া। সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করা জরুরি। তবে গুনাহর কাজে তথা আল্লাহর নাফরমানির কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো। মন্দকর্ম ও সীমা লঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না।

আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ আজাব প্রদানে কঠোর।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ২)
গুনাহর কাজে সহযোগিতার সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, তা বান্দার আমলনামায় বহুগুণে গুনাহ যোগ করতে থাকে, তার সহযোগিতার কারণে যদি কোনো গুনাহর প্রচলন ঘটে যায়, তাহলে মানুষ যত দিন সে গুনাহে লিপ্ত থাকবে, সাহায্যকারী তত দিন গুনাহে লিপ্ত সব মানুষের গুনাহের সমপরিমাণ গুনাহের ভাগীদার হবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি হেদায়েতের দিকে ডাকে, সে তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে এবং তাতে তার অনুসারীদের পুরস্কারে কোনোরূপ ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করে, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ গুনাহ হয় এবং এতে তার অনুসারীদের পাপের বোঝা কিছুমাত্র কমবে না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২০৬)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়, তাহলে সেই খুনের একাংশ (পাপ) আদম (আ.)-এর প্রথম পুত্রের (কাবিল) ওপর বর্তায়। কেননা সে সর্বপ্রথম খুনের প্রথা প্রচলন করেছিল। (মুসলিম, হাদিস : ৪২৭১)

অতএব, আমাদের সবার দায়িত্ব গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাউকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকা।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ