|| খালিদ হাসান বিন শহীদ, বিশেষ প্রতিনিধি ||
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে জনসমক্ষে মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় শরিয়া আইন বাস্তবায়নের প্রতি ইংগিত করে মন্তব্য করেছেন খ্যাতনামা ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান।’
এর ব্যাখ্যা দিয়ে পরে তিনি কমেন্টে বক্সে লেখেন, কিসাস অর্থ সমপরিমাণ শাস্তি। যেভাবে যতটুকু জুলুম হবে, ঠিক সেভাবে ততটুকু প্রতিকার করা হলো কিসাস। কেন কুরআনে কিসাসের কথা বলেছে, তা আমরা দেয়ালে পিঠ ঠেকলে উপলব্ধি করতে পারি। এ ধরণের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে।
প্রচলিত পদ্ধতিতে বছরের পর বছর ধরে বিচার কাজ চললে, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পাওয়ার পথ খোলা থাকলে এ ধরণের অপরাধ কখনো কমবে না বলেও লেখেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পুরান ঢাকায় লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও বড় পাথরখণ্ড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়।
গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে।
লোমহর্ষক এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সারা দেশের মানুষ। তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের ভেতরে এক দফা মারধর করে নিথর সোহাগের দেহকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে টেনে আনে হত্যাকারীরা। তারপর চলে নৃশংসতা।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ সপরিবারে কেরানীগঞ্জে থাকতেন। সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনএইচ/