বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘ইসরায়েল ও ভারতের সাথে অর্থনৈতিক-কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন’ ‘পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদেরকে কাজ করতে হবে’ সাবেক ইমাম মাওলানা নূরুল আলম বাঁচতে চায় বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ, পাশের হার ৯৬.২৪ শতাংশ ‘ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত‍্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ জরুরি’ ‘গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বাবসীকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান’ মাহে রমযানে একটি সফল আলোচনা সভা আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা,জামায়াতে ইসলামীর তীব্র নিন্দা ১৯ তম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান

আশুরার রোজা যেভাবে রাখবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাররম মাসের রোজার মধ্যে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রোজা হলো আশুরার রোজা। আশুরা আরবি শব্দ। আশারা থেকে আশুরা শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ হচ্ছে দশ। আরবি সনের প্রথম মাস মুহাররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

এই রোজার সাথে আরো একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا

তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখ। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ২০৯৫)

তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মুহাররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসাবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন, তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বিধর্মীরা তো এই দিনটিকে বড় দিন মনে করে। এই দিনে তারাও রোজা পালন করে। আমরা যদি এই দিনে রোজা রাখি তাহলে তো তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে। তাদের প্রশ্নের জবাবে রাসুলুল্লাহ সা. বলেন (তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা পালন করে), আগত বছর ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে দুই দিন রোজা পালন করব, ইনশাআল্লাহ। (মুসলিম: ১১৩৪)

অন্য বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিয়ো।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)

উপরোক্ত হাদিসগুলোর আলোকে প্রমাণিত হয় যে আশুরার রোজা হবে দুটি—মহররমের ১০ তারিখ আর ৯ তারিখ অথবা ১১ তারিখ আরো একটি।

সূত্র: ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪১৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৫

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ