মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নুরের ওপর সেনা-পুলিশ হামলা ন্যাক্কারজনক, নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করতে হবে: নাহিদ  পিআর ও জুলাই সনদ নিয়ে বাড়ছে বিরোধ, কোন পথে ইসলামি দলগুলো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা  আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

আবারও মুসলিম মেয়র পেল লন্ডন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

লন্ডনের মেয়র হিসেবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান। এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।

একে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছে বৃটিশ গণমাধ্যমগুলো। বিবিসি বলেছে, তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা লিখেছে, আমাদের হাতে যেসব রিপোর্ট এসেছে তাতে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান।

স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শতকরা ৪৩.৭ ভাগ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজার্ভেটিভ পার্টির সুসান হল পেয়েছেন শতকরা ৩২.৬ ভাগ ভোট। স্থানীয় এই নির্বাচনে শতকরা ৪০.৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। লেবার পার্টির সাদিক খান পেয়েছেন মোট ১০ লাখ ৯৯ হাজার ২২৫ ভোট। মিস হল পেয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট।

এর ফলে লন্ডনের ইতিহাসে টানা তৃতীয় মেয়র হিসেবে তিনিই প্রথম দায়িত্ব পালন করবেন।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।

তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।

জন্ম ১৯৭০ সালে। সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ