তারেক রহমান দেশে ফিরলে কোনো ধরনের বাধা বা সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে সারজিস বলেন, তারেক রহমান নিজের দেশে ফিরলে স্বাভাবিকভাবেই একজন নাগরিক হিসেবে নিরাপদ অনুভূতি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা মনে করি, তার দেশে ফেরা নিয়ে অযথা শঙ্কা তৈরির কারণ নেই। আগামীর রাজনীতিতে সব দলের মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশই আমরা প্রত্যাশা করি।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এনসিপি জেলা কমিটির পরিচিতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকার দিয়েছে, এনসিপি তা সমর্থন করে। নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হলে দেশের জন্য সেটি সবচেয়ে ভালো হবে। নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া বা পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আমরা দেখি না। দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
এসময় দলগুলোর পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়ি এড়িয়ে যৌক্তিক সমালোচনার চর্চা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, আমরা নীতিগতভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি সমর্থন করি না। কেউ যদি অযৌক্তিক কাজ করে, আমরা তার যৌক্তিক সমালোচনা করব। আবার যদি দেখি সমালোচনাটিই যুক্তিহীন, তারও সমালোচনা করব। ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দিলে সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এটি আমরা চাই না।
জাতীয় পার্টিকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেওয়ার মাধ্যমে ২৪-এর অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত তারা যে ভূমিকা রেখেছে, তাতে তারা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর। অবৈধ নির্বাচনের সুবিধা ভোগকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক, রাজনৈতিক বা আইনগত কোনো অধিকার নেই।
তিনি দাবি করেন, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম, সদস্য সচিব মো. খলিলুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক কৃষিবিদ গোলাম মর্তুজা সেলিমসহ জেলা কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/