প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি ও ইসলামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্দোলন শুরু হয়, পরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়।
তারা ঘোষণা দিয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন না দেওয়া পর্যন্ত শাহবাগে 'ব্লকেড' চলবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও অন্য নেতারা তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন: আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা, দলগত বিচার প্রক্রিয়া চালু করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ।
শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, ছাত্রশিবিরসহ বহু সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন এবং ফেস্টুন-পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষোভে নিহতদের স্বজনদেরও দেখা গেছে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, শাহবাগ থেকেই 'দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্ব' শুরু হবে। ঢাকার বাইরেও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরসহ অনেক জেলায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল, সমাবেশ, ও রাস্তা অবরোধ হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁরা একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চান।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তুতি'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় 'গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ' সংগঠনের অভিযোগে দলটি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।
এই দাবি বাস্তবায়নে সরকার এখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। সবার সম্মতি পেলে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন এনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ইতিমধ্যে ছাত্রলীগকে এই আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
গত সপ্তাহে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় এই দাবির আন্দোলন আরও জোরদার হয়। জামায়াত, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং শাহবাগে অবরোধ চালাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া ঠিক হবে না, কারণ এতে দেশে সংঘাত বাড়তে পারে। বিএনপি সরাসরি এই দাবিতে অংশ না নিলেও বলেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের ও জনগণের বিষয়।
সরকার জানিয়েছে, আলোচনা চলছে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা রাখার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, 'তিন সংস্থার সমন্বয়েই দেশ ছাড়েন হামিদ!'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হঠাৎ দেশত্যাগ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি ভিআইপি প্রটোকল নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান এবং গাড়িতে বসেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন।
জানা গেছে, থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় তার সব কার্যক্রম ছিল গোয়েন্দা সংস্থার জ্ঞাতসারে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করে এবং দায়িত্বরত উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে।
বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিয়ম মেনেই কাজ করেছে। এরপরও পুলিশের চার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার বা বরখাস্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবদুল হামিদের পাসপোর্ট ছিল বৈধ এবং তার বিরুদ্ধে কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষ করে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করেন।
জুলাই মাসে কিশোরগঞ্জে অভ্যুত্থান চলাকালে গুলির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তার দেশত্যাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে, আর একটি গোয়েন্দা সংস্থা গোপন প্রতিবেদনও দিয়েছে।
তদন্ত কমিটি বলেছে, কারা তাকে দেশত্যাগে সহায়তা করেছে এবং কীভাবে তিনি পাসপোর্ট পেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনার ফলে পুলিশের ভেতরে হতাশা ও মনোবল হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর 'আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার: তারেক রহমান'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছে এবং আওয়ামী লীগকে আবার রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে সরকার একদিকে পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের সহযোগীদের দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী ঐক্য দুর্বল করার কৌশল নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়েও মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তারেক রহমান উদাহরণ দিয়ে বলেন, গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের বোনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালায় অথচ প্রশাসন বলে সুমনকে তারা চেনে না।
আবার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়লেও সরকার জানে না বলছে। এতে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, সরকার আসলে কী জানে?
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ছাড়া কোনো নাগরিক নিরাপদ নয়। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত, তাদের কাছে দায়বদ্ধ সরকারই একটি রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে পারে। তাই সময়োপযোগী সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং জনগণের ভোটাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে, যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।

নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, 'বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে শতাধিক ভারতীয়কে পুশইন'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শতাধিক ভারতীয় নাগরিককে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে (পুশইন) দিচ্ছে।
গত তিন দিনে উত্তর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে এসব অনুপ্রবেশ ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বিএসএফ সীমান্ত পার করিয়ে দেয়।
সন্দেহজনক চলাফেরার কারণে চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন। পরদিন আরও ২৩ জনকে পুশইন করা হয়।
অনুপ্রবেশকারীরা জানায়, তারা অনেক বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন, কিন্তু ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদের ধরে এনে জোর করে সীমান্ত পার করে দিয়েছে।
এখনো সীমান্তের ওপারে তাদের মতো আরও অনেককে বিএসএফ আটকে রেখেছে। এসব ঘটনায় সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেকে পুশইনের পর আম্বুলেন্স বা সিএনজিতে করে বড়লেখা ত্যাগ করেছেন, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এরা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে এসেছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমকালের প্রথম পাতার খবর, 'ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে বড় সংঘাতের আশঙ্কা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তান তাদের সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা দাবি করেছে তারা দুই দিনে ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলো—পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট ও কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও জরুরি বিভাগের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এসব এলাকায় যুদ্ধ-সাইরেন আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় গোলাবর্ষণে ছয়জন নিহত ও বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান সরকার বেসামরিক বিমানের জন্য আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
দুই দেশের সামরিক মুখপাত্ররা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে যাচ্ছে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানের ড্রোন তুরস্কে তৈরি। পাকিস্তান বলছে, সীমিত অস্ত্রেই প্রতিরোধ করছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে, তবে সরাসরি হস্তক্ষেপে অনিচ্ছুক। এদিকে পাকিস্তানের ঋণ সহায়তা পর্যালোচনা করবে আইএমএফ, যেখানে ভারতের প্রভাবের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারত সরকার সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার-এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সংবাদের প্রথম পাতার খবর, 'গরমের দাপট আরও থাকবে আজ-কালও, তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈশাখের শেষ দিকে এসে দেশজুড়ে তীব্র গরম পড়ছে। মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।
দেশের ৪৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকাতেও তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, যা এই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ গরমের কারণ একটি লঘুচাপ, যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে, যা তাপপ্রবাহ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
বর্তমানে দেশের অনেক এলাকায় দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং রাতেও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনকার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় এটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই গরমে চিকিৎসকেরা রোদ এড়িয়ে চলা, হালকা পোশাক পরা, প্রচুর পানি পান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Hospitals, diagnostic centres: 95% pvt facilities running without renewed licences' অর্থাৎ, 'হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার: ৯৫% বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই চলছে'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে হাজার হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন না করেই চলতে থাকায় রোগীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসার মান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত ১৯ হাজার ৬২৭টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে মাত্র ৯১৪টি (চার দশমিক ৬৬ শতাংশ) চলতি অর্থবছরে এপ্রিল ২৭ পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করেছে।
একইভাবে ৩৫ হাজার ৫৯৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৭৯০টি (প্রায় পাঁচ শতাংশ) লাইসেন্স নবায়ন করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর অনলাইনে আবেদন করে পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন আপডেট ডকুমেন্ট জমা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের তদারকির ঘাটতি, জনবল সংকট ও পরিবেশ ছাড়পত্র পেতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় কাগজ ছাড়াই আবেদন করে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জনবল বা নিরাপত্তা মান নিশ্চিত হচ্ছে না।
ফলে রোগীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে দাবি করছেন, দুই বছর পরপর লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ দেওয়া হোক।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব নিয়ে আলোচনা চলছে এবং পর্যায়ক্রমে সমস্যা সমাধান করা হবে।
এনএইচ/