মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

জমির মালিকানা নির্ধারণ করতে ৭ বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণ করতে কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর ৭ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্ব মালসাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হতে মেহেরপুর দ্বিতীয় যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এই আদেশ দেন।

জানা গেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান ২৫ বছরের যুবক আল কবির। এরপর তার নামে থাকা ১৩ বিঘা সম্পত্তি দখলে নিতে দুজন তাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করেন। পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হতে কবর থেকে কবিরের মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানার এসআই জহির রায়হান মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ সময় সম্পত্তি নিয়ে চলা মামলার বাদী ও বিবাদীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও জানা যায়, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে নিঃসন্তান দম্পতি জুগিরগোফা গ্রামের আব্দুল লতিফ-হাজেরা খাতুন নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন। এক পর্যায়ে তারা তাদের নামীয় ১৩ বিঘা জমি আল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।

এদিকে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আল কবিরের মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর। পরের বছর তার পালিত পিতা আব্দুল লতিফও মারা যান।

এরপর আল কবিরের নামীয় সম্পত্তি দখল করে নেন আব্দুল লতিফের ভাইসহ অন্য শরিকেরা। এ নিয়ে আল কবিরের জন্মদাতা পিতা মিজানুর রহমান খোকন আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আল কবির তার ঔরসজাত সন্তান।

অন্যদিকে আব্দুল লতিফ পক্ষ দাবি করেন যে আল কবির আব্দুল লতিফের ঔরসজাত সন্তান। মূলত আল কবিরের নামে থাকা সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই পিতৃত্ব নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়।

এ অবস্থায় সন্তানের পিতার পরিচয় নিশ্চিত হতে আব্দুল লতিফের ভাই আবুল কাশেম মেহেরপুর দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত হতে আল কবিরের প্রকৃত পিতা-মাতা কে তা নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়।

এ অবস্থায় মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহ কবর থেকে তুলে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ঢাকা বরাবর পাঠানোর জন্য গাংনী থানা পুলিশকে আদেশ দেন।

আদালতের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুর ৭ বছর পরে বৃহস্পতিবার আল কবিরের মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

/এইচএএম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ