শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১২ পৌষ ১৪৩২ ।। ৭ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
৩০ দিনে মক্কা-মদিনায় ৬ কোটি ৯০ লাখ মুসল্লির সমাগম নাবালিকাকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, ব্যাংককর্মী গ্রেপ্তার ৭২ ঘণ্টায় হাদি হত্যার খুনি গ্রেফতার না হলে রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুঁশিয়ারি প্রবাসীদের কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: শিশুসহ আহত ৪ শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের উদ্দেশে রওনা হলেন তারেক রহমান যুদ্ধের মধ্যেই কোরআন মুখস্থ করলেন ৫০০ ফিলিস্তিনি, পেলেন সংবর্ধনা দুই ইসরায়েলিকে হত্যা, আহত ৬ সিরিয়ায় জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৮ নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলো ইসরায়েলি সেনা

মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

আদালতে মামলা করে চট্টগ্রাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থীরা বসতে পারলেও বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বসতে পারেননি। শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি ঝুলে আছে আদালতে। এর বাইরেও সরকারের সদিচ্ছাকেও দুষছেন কেউ কেউ। একজন উপদেষ্টার একটি বক্তব্য ঘিরে সেই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিজয়ী হওয়ার কথা থাকলেও তাঁকে জোর করে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন-এমন অভিযোগ এনে গত ১৭ এপ্রিল বরিশালের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির শুনানির জন্য গত ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। ধারণা ছিল, সে দিনই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে রায় আসবে। কিন্তু সেই দিন শুনানি করে আদালত আবার ৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেন। ফলে বিষয়টি ৫ মে পর্যন্ত ঝুলে গেল।

এদিকে সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার একটি বক্তব্য ঘিরে নতুন প্রতিবন্ধকতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি গত শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর আদালতের রায়ের মাধ্যমে পদে বসাকে সমর্থন করেন না এই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। তার মতে, এর মাধ্যমে অবৈধ ওই সব নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা থেকে বিরত থাকা উচিত।

তার এই বক্তব্যের পর ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং মুফতি ফয়জুল করীমের অনুসারী বলছেন, সরকার চাচ্ছে না বলেই হাতপাখার প্রার্থীকে বরিশালে মেয়র পদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতি বৈষম্য ও অবিচার হিসেবে দেখছেন তারা। ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। আদালতে শুনানির দিন বরিশালে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে। এছাড়া শায়খে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও মিছিল হয়েছে।

এদিকে মুফতী ফয়জুল করীমকে মেয়র নির্বাচিত করার দাবি যখন জোরালো হচ্ছে তখন গত ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস)। বিতর্কিত সেই নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হয়েছিলেন আর মুফতি ফয়জুল করীম হয়েছিলেন দ্বিতীয়। জাপা প্রার্থীর এই মামলাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তারা বলছেন, হাতপাখার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা ঠেকানোর জন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লাঙ্গলের প্রার্থীকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে।

তবে মুফতী ফয়জুল করীম এবং তাঁর অনুসারীরা এখনো হাল ছাড়ছেন না। তারা আগামী ৫ মে’র অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা আশা করছেন, সেদিন আদালত থেকে হাতপাখার পক্ষে রায় আসবে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বরিশালের মেয়র পদে বসতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত রায় তাঁর পক্ষে এলে দেশে একটি ইতিহাস রচিত হবে। তিনিই হবেন সিটি করপোরেশনের প্রথম কোনো আলেম মেয়র।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ