রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
একদিনে আরও ৪২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত, একজনের মৃত্যু আড়াই বছরে পূর্ণ কুরআন হাতে লিখল ভারতীয় শিশু  এবার কোনো হজযাত্রীকে কাঁদতে হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার চালু করতে আইনি নোটিশ ‘আমাকে বলা হচ্ছিল জুলাইয়ের প্রথম শহীদ, বাধ্য হয়ে ভিডিওবার্তা দিই’ মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে: ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ মাদরাসা অ্যাসোসিয়েশন রুপনগর থানার শিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এরদোয়ান কি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন? ৪৯৭৮ হাজিকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে বেঁচে যাওয়া টাকা কোনো ব্যক্তি বা দলের চরিত্রহনন অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়: জামায়াত আমির

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ওপর ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে উত্তাল অবস্থান নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (১৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবির পাশাপাশি হামলাকারীদের আজীবনের জন্য বহিষ্কারেরও আহ্বান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিক্ষককে গায়ে হাত তোলার ঘটনা নজিরবিহীন। ৫ আগস্টের পর যাদের রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া ছিল, তারাই এখন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলছে।”

ছাত্রদের মুখপাত্র হিসেবে মারুফ (ব্যাচ: ২১-২২) বলেন, “শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে কেউ কল্পনাও করেনি। এখন ছাত্রদলের নামে কিছু অছাত্র ক্যাম্পাসে ঢুকে এমন সন্ত্রাস চালাচ্ছে।"

সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন:

“যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙে দাও , ছাত্রদলের কালো হাত, গুঁড়িয়ে দাও, ভেঙে দাও, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন!”

ছাত্রদের মধ্যে তোফায়েল ইসলাম (ব্যাচ: ২০-২১) বলেন, “আগে আমাদের শিবির ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হতো না। এখন আবার শুরু হয়েছে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতি। যেসব ছাত্র জুলাইয়ে আহত হয়েছে, তারাও এই ট্যাগিংয়ের শিকার।”

শিক্ষার্থী ইরফান বলেন, “ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে যারা অতীতে ছাত্রদলে ছিলেন কিংবা জুলাইয়ে আহত হয়েছিলেন, তাদেরকেও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এমনকি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও সহকারী প্রক্টরের ওপরও হামলা করেছে এই সন্ত্রাসীরা।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনা ঘটে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত নিন্দা জানায়নি, কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একইসঙ্গে শিক্ষক সমিতিরও নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে মারধর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শিক্ষক ড. এ কে এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করা হয়। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতাও হামলার শিকার হন।

শিক্ষার্থীরা দ্রুত হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দেন তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ