মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭


করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা রোগীর পরিমাণ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। ধীরে ধীরে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে।

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ১৪ জানুয়ারি ৪ হাজার ৩৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ জানুয়ারি ৩ হাজার ৪৪৭ জনের, ১৬ জানুয়ারি ৫ হাজার ২২২ জনের, ১৭ জানুয়ারি ৬ হাজার ৬৭৬ জনের, ১৮ জানুয়ারি ৮ হাজার ৪০৭ জনের, ১৯ জানুয়ারি ৯ হাজার ৫০০ জনের, ২০ জানুয়ারি ১০ হাজার ৮৮৮ জনের এবং ২১ জানুয়ারি ১১ হাজার ৪৩৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

সার্বিক এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডা. নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আগেরবার দেখেছি লকডাউন দেওয়াতে সংক্রমণ কমেছে। বর্তমানে যে অবস্থা অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য কঠোরভাবে লকডাউন দেওয়া উচিত।’

অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, ‘সংক্রমণ গাণিতিক হারে বাড়ছে। বেশিরভাগই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা ততটা ক্ষতিকারক না। তবে, কেউ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে কিন্তু তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। সেটা নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাতেও কাজ না হলে লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই।’

ডা. মাহমুদা হোসেন মিমি বলেন, ‘আরও অন্তত ১৫ দিন আগেই লকডাউন দেওয়া উচিত ছিল। মানুষ যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাই অবশ্যই ন্যূনতম দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া দরকার।’

-কেএল


সম্পর্কিত খবর