মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭


ফজরের পর না ঘুমানোর আত্মিক ও শারীরিক উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

ইসলাম ধর্মে ফজরের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নামাজ পড়ার পর অনেকেই আবার ঘুমিয়ে পড়েন, যা শরীর ও আত্মার জন্য বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। বরং ফজরের পর জাগ্রত থাকা ও সক্রিয়ভাবে সময় কাজে লাগানো—দুই দিক থেকেই উপকার বয়ে আনে।

১. আত্মিক উপকারিতা:

(ক) বরকতের দরজা খুলে যায়:  

রাসূল (সা.) বলেন, "হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকালের কাজে বরকত দান করো।" (তিরমিজি)। ফজরের পর কাজে মনোযোগ দিলে রিজিক ও আমল দুটোতেই বরকত আসে।

(খ) জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের সময়: 

ফজরের পরকার সময়টি কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তেগফার ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ সময় আত্মা শান্ত হয় ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।

(গ) তাহাজ্জুদের আমল ধরে রাখা: 

ফজরের পর জেগে থাকলে রাতের ইবাদতের স্পিরিচুয়াল continuity বজায় থাকে। এতে ঈমান দৃঢ় হয়।

২. শারীরিক উপকারিতা:

(ক) মানসিক স্বচ্ছতা: 

ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত জেগে থাকা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ায়। এতে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(খ) হরমোন ব্যালেন্স: 

সকালে ঘুম নািয়ে দেহের করটিসল ও মেলাটোনিন হরমোনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। এতে মানসিক চাপ ও অবসাদ কমে।

(গ) শারীরিক সুস্থতা: 

ভোরবেলা হাঁটা, হালকা ব্যায়াম, বা কাজের প্রস্তুতি শরীরকে চাঙা রাখে। ডায়াবেটিস ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

ফজরের পর ঘুম নািয়ে জেগে থাকা শুধু একটি ধর্মীয় আমল নয়, বরং এটি জীবনব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ অংশ, যা শরীর, মন ও আত্মা—সবকিছুর জন্যই উপকারী। তাই এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত প্রতিটি মুমিনের।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর