শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশুর বারবার ঠান্ডা লাগা: কারণ ও প্রতিকার জানুন ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে কেন একজন মাওলানা ফজলুর রহমান নেই, কেন হয় না! বড় হচ্ছে দুদকের পরিধি, কর্মকর্তাদের সম্পদ যাচাই বাধ্যতামূলক আগামী সপ্তাহে প্রবাসীদের ঠিকানায় যাচ্ছে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচন করবেন: উপদেষ্টা আসিফ খোদাদ্রোহী বাউল আবুল সরকারের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে জাতীয় ইমাম পরিষদের মানববন্ধন বাউলদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪ দুটি ট্রলারসহ টেকনাফের ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ফজরের পর না ঘুমানোর আত্মিক ও শারীরিক উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

ইসলাম ধর্মে ফজরের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নামাজ পড়ার পর অনেকেই আবার ঘুমিয়ে পড়েন, যা শরীর ও আত্মার জন্য বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। বরং ফজরের পর জাগ্রত থাকা ও সক্রিয়ভাবে সময় কাজে লাগানো—দুই দিক থেকেই উপকার বয়ে আনে।

১. আত্মিক উপকারিতা:

(ক) বরকতের দরজা খুলে যায়:  

রাসূল (সা.) বলেন, "হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকালের কাজে বরকত দান করো।" (তিরমিজি)। ফজরের পর কাজে মনোযোগ দিলে রিজিক ও আমল দুটোতেই বরকত আসে।

(খ) জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের সময়: 

ফজরের পরকার সময়টি কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তেগফার ও জিকিরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ সময় আত্মা শান্ত হয় ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।

(গ) তাহাজ্জুদের আমল ধরে রাখা: 

ফজরের পর জেগে থাকলে রাতের ইবাদতের স্পিরিচুয়াল continuity বজায় থাকে। এতে ঈমান দৃঢ় হয়।

২. শারীরিক উপকারিতা:

(ক) মানসিক স্বচ্ছতা: 

ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত জেগে থাকা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ায়। এতে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(খ) হরমোন ব্যালেন্স: 

সকালে ঘুম নািয়ে দেহের করটিসল ও মেলাটোনিন হরমোনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। এতে মানসিক চাপ ও অবসাদ কমে।

(গ) শারীরিক সুস্থতা: 

ভোরবেলা হাঁটা, হালকা ব্যায়াম, বা কাজের প্রস্তুতি শরীরকে চাঙা রাখে। ডায়াবেটিস ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

ফজরের পর ঘুম নািয়ে জেগে থাকা শুধু একটি ধর্মীয় আমল নয়, বরং এটি জীবনব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ অংশ, যা শরীর, মন ও আত্মা—সবকিছুর জন্যই উপকারী। তাই এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত প্রতিটি মুমিনের।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ