মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার একটি সাধারণ উপাদান হলেও, এর উপকারিতা অসাধারণ। এটি শুধু একটি সবজি নয়, বরং একপ্রকার প্রাকৃতিক ওষুধ। গ্রীষ্মপ্রধান দেশের জন্য শসা একটি আশীর্বাদস্বরূপ।
১. পানিশূন্যতা রোধে সহায়ক
শসার ৯৫% অংশই পানি। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখা ও পানিশূন্যতা দূর করতে এটি খুব কার্যকর। এটি ত্বকেও আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।
২. ওজন কমাতে সহায়ক
শসা ক্যালোরি ও ফ্যাটহীন। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আদর্শ খাবার। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৩. হজম শক্তি বাড়ায়
শসায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও অন্ত্রে গ্যাস জমা প্রতিরোধ করে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
শসার মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি উপকারী।
৫. ত্বক ও চোখের যত্নে কার্যকর
শসা ফেইস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, ব্রণের দাগ হালকা হয়। চোখের ফোলাভাব ও ক্লান্তি দূর করতে ঠান্ডা শসার টুকরো দারুণ কাজ করে।
৬. কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক
শসা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, যা কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
নিত্যদিনের খাবারে শসা রাখা যেমন সহজ, তেমনি উপকারীও। সালাদে, জুসে, কিংবা সরাসরি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোকেই সতেজ রাখা সম্ভব। তাই শসাকে অবহেলা না করে নিয়মিত গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরএইচ/