ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনায় বসতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার সাড়ে তিন বছরের আগ্রাসন থামাতে জেলেনস্কি ও পুতিনকে আলোচনার টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক এবং পরে ওয়াশিংটনে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরও বাস্তবে শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রগতি হয়নি।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ‘বৈঠক আয়োজন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে’। সন্ধ্যার ভাষণে তিনি যোগ করেন, রাশিয়া থেকে পাওয়া সংকেতগুলো ‘ভয়াবহ’ এবং দেশটি যুদ্ধ বন্ধ করতে মোটেও আগ্রহী নয়।
তার দাবি, রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং সম্মুখ সারিতে ভয়াবহ আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জেলেনস্কি ভবিষ্যতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ থামার পর এবং মিত্ররা ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করলে তবেই তিনি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেই বৈঠক অবশ্যই একটি ‘নিরপেক্ষ’ ইউরোপীয় দেশে হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মস্কোতে বৈঠকের সম্ভাবনা তিনি একেবারেই নাকচ করেন।
এছাড়া, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে চীনের ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করে জেলেনস্কি তা সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে, রাশিয়ার অভিযোগ— ইউক্রেন আসলে ‘দীর্ঘমেয়াদি’ শান্তিতে আগ্রহী নয়, বরং কিয়েভ মস্কোর শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গ্যারান্টি দাবি করছে।
শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য ট্রাম্প দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সকে বলেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে ওয়াশিংটনকে ‘ভিন্ন পদক্ষেপ’ নিতে হতে পারে।
এসএকে/