মোস্তফা ওয়াদুদ: আমাদের কিছু ভাই অনেক সময়ই মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করে থাকেন। হয়তো কখনো ইমাম সাহেবের সাথে নামাজ ধরতে পারেননি। অথবা অন্য কোনো কারণে জামাত ছুটে গেছে। এরপর কিছু মানুষ মিলে দ্বিতীয় জামাত আদায় করছেন। সাধারণত শহরের বড় বড় মসজিদগুলোতে এসব চিত্র দেখা যায়।
এক সময় বিষয়টি স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে। প্রায় মসজিদে কিছু মুসুল্লি দেরী করে আসেন। তারপর নিজেরা কয়েকজন মিলে জামাতে নামাজ আদায় করেন। বিশেষত রাজধানীর বড় বড় মসজিদগুলোতে এমন হয়ে থাকে। যার উদাহরণ রয়েছে অসংখ্য। এটি আসলে কতটা সঠিক?
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে জনৈক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন চলমান এ মাসআলাটি।
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এর জবাবে বলা হয়, যদি এটি মহল্লার মসজিদ হয়, যাতে সব সময় নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। বা নামাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। এবং আজকেও নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় হয়ে গিয়ে থাকে। তাহলে সেখানে দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহ। সুতরাং এমন মসজিদে প্রথম জামাত হওয়ার পর দ্বিতীয় জামাত না করা। যদি কারো একান্তই জামাত করতেই হয়, তাহলে মসজিদের বাইরে নামাজের জামাত করা। অন্যথায় একা একা নামাজ আদায় করা।
দেওবন্দের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ফতোয়ার লিঙ্ক: https://darulifta-deoband.com/home/ur/salah-prayer/57217
এমডব্লিউ/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        