শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


যে ৭টি স্থানে নামাজ পড়া হারাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নামাজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করেন:

“নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।”

(সূরা আন-নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলা করবে না, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (সুনান আবু দাউদ: ১৪২০)

নামাজের জন্য প্রয়োজন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন স্থান। রাসুল (সা.) বলেছেন: “সমস্ত পৃথিবী আমার উম্মতের জন্য পবিত্র ও মসজিদরূপে করা হয়েছে।” (সহিহ বুখারি: ২৯৭৭)

অর্থাৎ, পৃথিবীর যেকোনো পরিষ্কার জায়গায় নামাজ পড়া যায়। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ আদায় করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

রাসুল (সা.) যে ৭টি স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন:

হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সা.) সাত স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন:

  1. আবর্জনার স্থান
  2. জবাইখানা
  3. কবরস্থান
  4. পথঘাট বা রাস্তার মাঝখান
  5. টয়লেট বা বাথরুম
  6. উটের খোঁয়াড় বা গোয়ালঘর
  7. কাবা শরিফের ছাদ

(জামে তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

অন্য এক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন:

“সমস্ত জমিন নামাজের জায়গা, তবে কবরস্থান ও বাথরুম ব্যতীত।” (সুনান আবু দাউদ: ৪৯২)

কেন এই স্থানগুলোতে নামাজ নিষিদ্ধ?

নাপাকি ও অপবিত্রতা: আবর্জনা, জবাইখানা, টয়লেট—এসব স্থান অপবিত্র।

শিরকের আশঙ্কা: কবরস্থানে নামাজ পড়লে কবরপূজার ভুল ধারণা হতে পারে।

নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা: পথঘাটে নামাজে বিঘ্ন ঘটে, মানুষের চলাচলে বাধা পড়ে।

বিশেষ সম্মান: কাবার ছাদে নামাজ পড়া কাবার মর্যাদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নামাজের প্রতি যত্নশীল হোন, স্থান নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ