বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
 ‘ইসলাম ও দেশপ্রেমিক জনতার চাহিদার মূল্যায়ন করতেই বৃহত্তর ঐক্যের পথে অগ্রসর হয়েছি’ নরসিংদী-৩ আসনে রিকশা প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগ  ‘সব মার্কা দেখা শেষ, এবার ইসলামের হবে বাংলাদেশ’ সমৃদ্ধ হাটহাজারী গড়তে জমিয়ত  প্রার্থীর হাতকে শক্তিশালী করুন: আল্লামা খলিল আহমদ ইসরাইলি সেনাদের পদত্যাগের হিড়িক ঢাকা-১৩ আসনের ইমাম ও আলেম-উলামার সঙ্গে ইবনে শাইখুল হাদিসের মতবিনিময় গত ৯ মাসে ৩০ মিলিয়ন ডলার জাফরান রপ্তানি করেছে আফগানিস্তান পাসপোর্টে ৮ মাসেও বহাল হয়নি ‘একসেপ্ট ইসরাইল দুই উপদেষ্টার পদত্যাগে খালি তিন মন্ত্রণালয়: দায়িত্ব পেতে পারেন যারা হজযাত্রীদের প্লেনের টিকিটে শুল্ক প্রত্যাহার

গাদ্দারের পরিণতি যেমন হয়: বাদশাহ হারুনুর রশিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গাদ্দারের পরিণতি কেমন হওয়া চাই। এর একটি চমৎকার উদাহরণ বাস্তবায়ন করেছেন বাদশাহ হারুনুর রশিদ। ইতিহাসের কিতাবে ঘটনাটি পাওয়া যায়। আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য আমরা ‘গাদ্দারের পরিণাম’ গল্পটি তুলে ধরছি।

একবার বাদশাহ হারুনুর রশীদের কাছে এক লোক একটি চাতক পাখি বিক্রি করার জন্য নিয়ে এলো। তিনি দাম জিজ্ঞেস করলে সে বাজারমূল্যের চেয়েও অনেক বেশি দাম চাইলো। বাদশাহ জানতে চাইলেন, পাখিটির এত দাম কেন? অথচ তার একটি পা নেই! লোকটি বললো, মার্জনা করবেন জাঁহাপনা! দেখতে সাধারণ হলেও এটি আসলে একটি বিশেষ ধরণের পাখি।

এর বিশেষত্ব হলো- আমি যখন শিকারে যাই, তখন এই চাতক পাখিটিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাই। আমার পাতানো ফাঁদের সাথে এই পাখিটিকেও বেঁধে রাখি। এই পাখিটি তখন অত্যাশ্চর্য এক আওয়াজে অন্য পাখিদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তার এই আওয়াজ শুনেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা এসে জড়ো হয়। তখন আমি একসাথে সব পাখিকে শিকার করি। বলা যায় এই পাখিটিই আমার শিকারের প্রধান ফাঁদ।

বাদশাহ তার কথা শুনে পাখিটিকে শিকারীর চাহিদা অনুযায়ী চড়া দামেই কিনলেন ও সাথে সাথে ‘জবাই’ করে ফেললেন। শিকারী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, জাঁহাপনা! আপনি অনেক দামে কেনা পাখিটি এভাবে জবাই করে দিলেন?

তখন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তাকে একটা মহামূল্যবান কথা বললেন, যা ইতিহাসে আজও অমর হয়ে আছে। তিনি বললেন,
‘যে অন্য জাতির দালালি করার জন্য তার স্বজাতির সাথে অনায়াসে এমন গাদ্দারি করতে পারে, তার এই পরিণতিই হওয়া উচিত’।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ