শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ ‎কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মসজিদের ইমামের নারায়ণগঞ্জে খেলাফত ছাত্র মজলিসের দুই দিনব্যাপী কর্মী কর্মশালা মাছ ধরার নৌকার ছদ্মবেশে যেভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে চীন বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ পরিকল্পনার প্রতিবাদে ২ লাখ ইহুদির বিক্ষোভ

বিহারের বন্যায় নিহত ২১, ক্ষতিগ্রস্ত ৬৯ লক্ষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে ভারতের বিহারে। নেপালে উত্‍পন্ন হওয়া বেশ কিছু নদীর জল হু হু করে ঢুকছে বিহারের উত্তরভাগে।

১৬টি জেলার মোট ১১৮৫টি পঞ্চায়েত এলাকা বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৯.০৩ লক্ষ লোক। গত ২৪ ঘণ্টায় সিয়ান জেলায় নতুন করে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে বিহারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা মোট ২১ জন। একদিনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন লাখ। ক্ষতিগ্রস্ত পঞ্চায়েতের সংখ্যা ১১৬৫ থেকে ১১৮৫-তে পৌঁছেছে।

এর আগে দ্বারভাঙায় সাতজন, মুজফফরপুরে ছয়জন, পশ্চিম চম্পারণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। অন্যদিকে খাগরিয়া জেলায় বুড়ি গণ্ডক নদীর কাছে তাঁতি টোলা এলাকায় নদীর পাড় ভেঙেছে। বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা জানিয়েছেন, নদীর পাড় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অকারণ আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন তিনি।

দ্বারভাঙা, মুজফফরপুর, পশ্চিম চম্পারণ, সিয়ান ছাড়াও বিহারের সীতামারী, সুপাল, পূর্ব চম্পারণ, সেওহার, কৃষ্ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাধেপুরা, মধুবনি, সমস্তিপুর, এইসব জেলাও বন্যায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিহারে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল মিলিয়ে মোট ৩৩টি টিম কাজ করছে।

ইতিমধ্যেই ৪.৮২ লক্ষ মানুষকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২,২৩৯ জন মোট ৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে ১৪০২টি কমিউনিটি কিচেনে প্রতিদিন খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বয়স্ক মানুষ এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা। খাবারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের প্রাথমিক চিকিত্‍সা পরিষেবা দেওয়ারও যথা সম্ভব চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ