||মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া||
বাউল শিল্পী আবুল হোসেন সরকার মহান আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে চরম ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে। তাকে অবশ্যই এ অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতার মসনদে বসে, প্রায় সকলেই আল্লাহ, রাসূল, ইসলাম, সাহাবায়ে কেরাম, ইসলামি বিধি-বিধান নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা বা শিথিলতা করে থাকে। যার ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলমান রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়। ফলে কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। এসবের দায়ভার অবশ্যই সরকার মহাশয়কে নিতে হবে।
বাউলরা পালাগানের নামে আল্লাহ তায়ালা, নবী-রসূল, নবী-কন্যা ফাতেমা, নবী দৌহিত্র হাসান, হোসাইন, আব্দুল কাদের জিলানীসহ প্রমূখ সম্পর্কে এমনসব মন্তব্য করে, যার ফলে ঈমান দুর্বল হতে থাকে। আবার কখনো এমন কথা বলে থাকে, যে কারণে মুসলিম পরিচয়ের অধিকার আর সংরক্ষিত থাকে না। এরা হরহামেশা ঈমান নষ্ট হয়ে যায় এমন গান, আলোচনা করে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে নারী বাউলরা পুরুষ বাউলদের চরিত্রহীনতার অভিযোগ করে থাকে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাউলদের বিরাট একটা অংশ অনৈতিকতার অন্ধকারে ডুবে আছে। পালাগানের আসরে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার একটা পরিবেশ তৈরি হয়। কোথাও কোথাও প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনের আসর বসতে দেখা যায়।
উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান এর বিরুদ্ধে সব সময়ই কথা বলে আসছেন। ঈমান-আকিদাবিরোধী বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। নেশাদ্রব্য সেবনের প্রতিবাদ করে আসছেন। প্রশাসনও রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে।
সম্প্রতি মানিকগঞ্জে বাউল আবুল সরকার আল্লাহ তায়লা সম্পর্কে জঘন্যতম কটুক্তি করেছে। এতে ধর্মপ্রাণদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। ঈমানী জযবায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। কতিপয় অতি উৎসাহী লোক কিছু ভাংচুরও করে। কুলাঙ্গার আবুল সরকারকেও গ্রেফতার করা হয়। এসব ঈমান, ইসলামবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ জাতীয় পরিস্থিতি তৈরি হতো না; এর জন্য দায়ী প্রশাসন।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, রাজনৈতিক দল এবং কতিপয় আঁতেল ব্যক্তিবিশেষ বাউলদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলের মতো বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কীভাবে বাউল আবুল হোসেনের পক্ষে অবস্থান নেন? মহান আল্লাহকে নিয়ে যখন জঘন্য মন্তব্য করেছিল, তখন তিনি কেন নিশ্চুপ ছিলেন? ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কাদের খুশি করতে চেয়েছেন?
মির্জা সাহেবের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বয়েসের ভার কিংবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি লোড নিতে পারছেন না। আমাদের প্রত্যাশা, হয়তো তিনি নীরব হয়ে যাবেন কিংবা বিএনপির নীতিনির্ধারকরা নিশ্চুপ করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এলএইস/