শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৪ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘের অফিস সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল চেয়ে দেশব্যাপী জমিয়তের স্মারকলিপি কর্মসূচী পালিত মাইলস্টোন ট্রাজেডি: নিহত মাসুমা’র ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান  ফ্যাসিস্ট আমলের ১০ নির্বাচন কমিশনার ও ২ সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা টানা ২বছর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম "মোহাম্মদ" সাগরের পাড়ে বসে গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি: নাসীরুদ্দীন দারুল উলূম দেওবন্দে নবীজির স্মৃতিধন্য রুমাল এখনো সংরক্ষিত শ্রীমঙ্গলে খিদমাহ ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মাননা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ ও পিআর নিয়ে সুরাহা না করেই নির্বাচন আয়োজনে উদ্বেগ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান ওসমান বিন হাদীর

সাগরের পাড়ে বসে গভীরভাবে ভাবতে চেয়েছি: নাসীরুদ্দীন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ পাঁচ নেতাকে কক্সবাজার সফর নিয়ে সংগঠনের অনুমতি না নেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সফরের পূর্বে রাজনৈতিক পর্ষদকে কোনো তথ্য বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তবে দলীয় দপ্তরের মাধ্যমে নয়, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন সেই ব্যাখ্যা।

জবাবে তিনি জানান,
"৫ আগস্ট আমার কোনো রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না। দল থেকেও কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ৪ আগস্ট রাতে দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ কোচিং অফিসের সহকর্মীর ফোন ব্যবহার করে জানায়, সে স্কুল বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যাবে। আমি তাকে আহ্বায়ককে অবহিত করতে বলি এবং নিজেরাও তাকে জানাতে বলি। একই রাতে আমি পার্টি অফিসে গিয়ে আহ্বায়ক মহোদয়কে বিষয়টি জানাই এবং ফোনে সদস্যসচিব মহোদয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করি।"

নাসীরুদ্দীন আরও বলেন,
"সেখানে আমি জানতে পারি, একটি রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে তিনজন প্রতিনিধি যাচ্ছে, কিন্তু আমার কোনো দায়িত্ব নেই। ফলে, মানসিক বিশ্রাম ও চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজনে আমি ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সফরসঙ্গী হিসেবে সস্ত্রীক সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি যুক্ত হন।"

তিনি বলেন,
"আমি শুধু ঘুরতে যাইনি, বরং রাজনীতির ভবিষ্যৎ, নাগরিক পার্টির কাঠামো, গণপরিষদ এবং একটি নতুন সংবিধান নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করেছি। সাগরের পাড়ে বসে ভাবনাটা আরও নিবিড় হয়েছে। একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য এটি দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা—অপরাধ নয়।"

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাতের গুজব প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন,
"এটি ছিল পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, পিটার হাস সেখানে ছিলেন না। পরে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র—আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।"

তিনি আরও বলেন,
"ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে দল থেকে কখনো বিধিনিষেধ জানানো হয়নি। অতীতেও আমি কক্সবাজারসহ অন্যান্য জায়গায় গিয়েছি। কখনো এমন প্রশ্ন তোলা হয়নি। তাই মনে করি, এই শোকজ নোটিশ বাস্তবসম্মত নয়। আমার সফর স্বচ্ছ, নীতিমালাবিরোধী নয় এবং এটি ছিল নিছক একান্ত ব্যক্তিগত মননচর্চা। তবু দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি লিখিত জবাব দিচ্ছি—সাংগঠনিক শালীনতা বজায় রেখে।"

শেষে নাসীরুদ্দীন বলেন,
"ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। কারণ ইতিহাস কেবল মিটিংরুমে নয়, অনেক সময় তা জন্ম নেয় নির্জন চিন্তার ঘরে কিংবা সাগরের পাড়েও।"

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ