শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের আলী রীয়াজসহ সংস্কার কমিশনের সব সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে: মাওলানা ইউসুফী আমরা মওদুদি ইসলাম নয়, মদিনার ইসলামের অনুসারী: সালাহউদ্দিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে: প্রফেসর মুজিবুর রহমান জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশ ও শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করুন: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন  জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিবে  ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা উত্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

দারুল উলূম দেওবন্দে নবীজির স্মৃতিধন্য রুমাল এখনো সংরক্ষিত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুফতী আবদুল কাদের মাহমুদ কাসেমী ||

দারুল উলূম দেওবন্দের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত রয়েছে গৌরবময় এক স্মারক ও ইতিহাসবহুল স্মৃতিচিহ্ন—এক পবিত্র রুমাল, যা বহু বছর ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জুব্বা মুবারকের সংস্পর্শে ছিল। তুরস্কের সুলতানরা প্রতি বছর এ জুব্বাটি পরিদর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করতেন, যা আজও সে দেশের রাজকীয় কোষাগারে পরম যত্নে সংরক্ষিত রয়েছে। এ অনুপম নিদর্শনটি উসমানিয়া খিলাফতের অমূল্য উপহার, যা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লিপিবদ্ধ এক গর্বময় অধ্যায় হয়ে রয়েছে।

বালক্বান যুদ্ধ চলাকালে মুসলিম উম্মাহ অর্থনৈতিক ও সামরিক সংকটে পড়লে ভারতীয় উপমহাদেশের আলেমসমাজ, বিশেষ করে দারুল উলূম দেওবন্দ, নিজেদের সর্বোচ্চ সহমর্মিতা ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে যুদ্ধকবলিত মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায়। তাদের এই সহায়তা ও আন্তরিক উদ্বেগে অনুপ্রাণিত হয়ে, পারস্পরিক ঐক্যকে চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে উসমানী খিলাফতের সম্মানিত তুর্কী সুলতান ১৩৩২ হিজরি (১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে) এই পবিত্র রুমালটি উপহারস্বরূপ দারুল উলূম দেওবন্দের জন্য প্রেরণ করেন।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জুব্বা মুবারকের দীর্ঘ সংস্পর্শে ধন্য এ পবিত্র রুমালটি প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে দারুল উলূম দেওবন্দের সংগ্রহশালায় এক গৌরবময় ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে—যা আজও প্রতিদিন আগত শত শত দর্শনার্থীর জন্য ভক্তি, শ্রদ্ধা, আবেগ ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

লেখক: শিক্ষার্থী, দারুল উলূম দেওবন্দ, উত্তর প্রদেশ, ভারত

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ