বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২২ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপির সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের বিরোধ কেন, কখন থেকে শুরু? জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল জমিয়ত উত্তরা জোনের ‘জুলাই সম্মেলন’ স্থগিত ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার দায় সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে’ ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন: হেফাজত ‘মুফতি আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের অংশ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ: ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নিহত ৪ জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ

‘আওয়ামী দোসররা মরণকামড়ে নেমেছে, কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প নেই’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। 

জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসররা এখন মরণকামড়ে নেমেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে তারা দেশে অরাজকতা ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। এসব দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পাঠানো এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও তাদের সন্ত্রাসীরা ফের দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্তে নেমেছে। গোপালগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের আহত করা- সবই একটি পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরির অংশ।

জোট নেতারা অভিযোগ করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির সুযোগে আওয়ামী দোসররা এখন মরণকামড় দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও গোটা দেশকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। এদের কঠোর হস্তে দমন করা এখন সময়ের দাবি।

১২ দলীয় জোট দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে এখনই ঐক্য গড়া ছাড়া বিকল্প নেই।

জোট নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা পালন করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো নিষ্ক্রিয়তা বা পক্ষপাতিত্ব দেশকে গভীর সংকটে ফেলবে।

জোট নেতারা আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়টিতে আমাদের ঐক্য আরও ইস্পাতকঠিন করতে হবে। পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থেকে একটি শক্তিশালী জাতীয় মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে।

যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি), মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপি), সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দল), ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম (জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম), রাশেদ প্রধান (জাগপা), লায়ন ফারুক রহমান (ন্যাশনাল লেবার পার্টি), শামসুদ্দিন পারভেজ (কল্যাণ পার্টি), মাওলানা আব্দুল রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট), আবুল কাশেম (ইসলামিক পার্টি), ফিরোজ মুহাম্মদ লিটন (পিএনপি), এম এ মান্নান (নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি)।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ