সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ।। ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশ গঠনে ৭ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জামায়াত নেতা বুলবুলের ‘বিএনপি নেতার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজকে আরও উস্কে দেবে’  ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক ‘জুলাইয়ে উলামায়ে কেরাম বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হকের পথে ছিলেন’ রাষ্ট্রের টাকায় পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ: হেফাজত ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে : মির্জা ফখরুল  গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ‘মহা বিপর্যয়’, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের দাবি ইসলামি দলগুলোর ঐক্যচেষ্টায় পিআর কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে? রাতে চরমোনাই যাচ্ছে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

কারাবন্দি ধর্মপ্রাণ যুবকদের মুক্তির দাবিতে বাঙালী মুসলিম যুব সংঘের মানববন্ধন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাঙালী মুসলিম যুব সংঘ-এর আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে কারাবন্দি মেধাবী ও ইসলামপন্থী মূল্যবোধে বিশ্বাসী যুবকদের মুক্তির দাবি জানান। বিশেষভাবে ফারাবি শফি, সাইমন, আসাদুল্লাহসহ অন্যান্য বন্দিদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত সময়গুলোতে “জঙ্গি দমন” অভিযানের নামে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী মত দমনের অপচেষ্টা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অনেক তরুণকে অন্যায্যভাবে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে, যেগুলোর অনেকগুলোর পেছনে যথাযথ তদন্ত, স্বচ্ছ বিচার বা গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছিল না।

মানববন্ধনে বলা হয়, “জাতীয় নির্বাচন, গণআন্দোলন বা রাজনৈতিক সংকটের সময় বারবার দেখা গেছে হঠাৎ করে ‘জঙ্গি আস্তানা’ বা ‘অভিযান’ নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে ইসলামী ভাবধারার তরুণরা হয়রানির শিকার হয়েছেন।”

বক্তারা দাবি করেন, এ ধরনের ঘটনাগুলোর লক্ষ্য ছিল— 
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসপ্রবণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন

বিরোধী রাজনৈতিক মত দমনে ‘জঙ্গি’ তকমা ব্যবহার

গুম, খুন, নির্যাতনের বৈধতা তৈরিতে ‘অভিযান’কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার

আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে নিরাপত্তা ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা

বক্তারা মনে করিয়ে দেন, হলি আর্টিজান হামলার পর সরকার পুরো বিষয়টিকে ব্যবহার করেছে ধার্মিক জনগোষ্ঠীকে সন্দেহের চাদরে আবদ্ধ রাখতে। এখন পর্যন্ত বহু ঘটনায় বিচার হয়নি, বরং অনেকে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তারা বলেন, অনেক মামলায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে পুলিশি হেফাজতে চাপ প্রয়োগ করে ,সাক্ষী ছিলেন অজ্ঞাত বা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত, আসামিদের আগেই ‘জঙ্গি’ হিসেবে প্রচার করে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় আইনজীবীর সুযোগ সীমিত ছিল

বাঙালী মুসলিম যুব সংঘের দাবি:
১. সকল ‘জঙ্গি’ মামলার নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পুনঃতদন্ত
২. রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মামলাগুলো বাতিল করে ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ
৩. ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মামলা দ্রুত হাইকোর্ট পর্যায়ে পুনর্বিচার

বক্তারা আরও বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি সরকার অতীতের ভুল শুধরে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং যেনো কেউ মিথ্যা অভিযোগ বা নাটকীয় ঘটনার শিকার হয়ে আর বন্দি না হয়।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ