বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, নিন্দনীয় ও গণতন্ত্রবিরোধী। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এধরনের সহিংস হামলা রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি হুমকি।
আজ (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ এক গভীর রাজনৈতিক সংকট অতিক্রম করছে। জনগণ স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার জন্য সংগ্রামরত। এমন সময় একটি ভারতপন্থী গোষ্ঠী পলাতক নেত্রীর ইন্ধনে দেশে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আজকের হামলা তারই অংশবিশেষ।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও দেশের সার্বভৌমত্বের শত্রু। অতীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও তাদের মদদপুষ্ট দোষীদের পরিচয় সকলের জানা। এসব হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা তাদের আশু সুস্থতা কামনা করি। পাশাপাশি, এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে—দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটছে। সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে, দেশের জানমাল, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সকল অশুভ ও ষড়যন্ত্রমূলক শক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। বিশেষ করে পলাতক দুর্নীতিবাজ নেত্রী ও তার দেশবিরোধী সহযোগীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মহাসচিব দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক শক্তি, নাগরিক সমাজ ও ইসলামপ্রিয় জনতাকে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এমএইচ/